আতঙ্কিত না হয়ে সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের আহ্বান
চীন থেকে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বন্দর ও চেকপোস্টগুলোতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সমন্বিতভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কলাবাগানে পবা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘করোনাভাইরাস : শঙ্কা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, যত বেশি পরিবেশগত সংকট ও দূষণ তৈরি হচ্ছে, ততই এমন সব রোগ ও মহামারি বাড়ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করে সামগ্রিক উন্নয়ন না ঘটলে করোনার মতো সংকট সামাল দেয়া ভবিষ্যতে আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এ সময় আয়োজক সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের ভেতর তৈরি হওয়া আতঙ্ক কমিয়ে এটা প্রতিরোধে সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ, করোনাভাইরাস নিয়ে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে অযথা গুজব, সাম্প্রদায়িক বৈষম্যমূলক তথ্য ও আতঙ্ক ছড়ানো বন্ধ করে সত্যিকারের গঠনমূলক তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন, চীনসহ বিদেশে থেকে যারা আসবেন এবং সেখানে যাবেন তাদের ধারাবাহিক স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করতে হবে, চীন বা বাইরে থেকে এসে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেই তথ্য নিকটস্থ সরকারি হাসপাতাল বা এ বিষয়ে খোলা হটলাইনে জানানো, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালের আউটডোরে না আনা, তার তথ্য প্রদান করে তার কাছে সেবাদানকারীদের যাওয়া দরকার। চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে যেন কোনোভাবেই এই রোগ ছড়াতে না পরে তার ব্যবস্থা নেয়া।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে এবং বারসিকের ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল আলোচনা উত্থাপন করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও শিশুসংগঠক ডা. লেলিন চৌধুরী। আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. এম এ সাঈদ, পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান, প্রাণ-প্রকৃতি গবেষক পাভেল পার্থ, নিরাপদ স্বাস্থ্য আন্দোলনের জেবুন্নেসা প্রমুখ।
এএস/এমএসএইচ/পিআর