ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ
বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল লতা খাতুন (১২) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। রোববার রাতে ইউএনও মোহাম্মদ রুবায়েত খান ভ্রাম্যামাণ আদালতে বরের এক মাসের কারাদণ্ড এবং জড়িত মা-বাবাসহ পাঁচ ব্যক্তির এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামে।
নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মোহাম্মদ রুবায়েত খান রাতে থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলার ভাদাইকান্দি গ্রামের ট্রাক শ্রমিক লিটন মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে লিটন মণ্ডলের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী কন্যা লতা খাতুনের (১২) সঙ্গে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকার কালু প্রামানিকের ছেলে ট্রাকচালক জনি মিয়ার (২৬) বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সংবাদ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ইউএনও মোহাম্মদ রুবায়েত খান।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে বর জনিকে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে বাল্য বিয়েতে সহযোগিতার দায়ে বরের বাবা কালু প্রামাণিক, মা শাহিন বেগম, মামা মোজাহিদ, প্রতিবেশি সাঞ্জু এবং কনের দাদী ফাতেমা বেগম প্রত্যেকের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
লিমন বাসার/এমজেড/আরআইপি