সাময়িক স্থগিত হতে পারে বাংলাদেশ-চীন গমনাগমন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে চীন এবং চীন থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িক স্থগিত করার চিন্তা করছে সরকার। ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমনই ইঙ্গিত দেন।

মন্ত্রী বলেন, চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহু মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করেন। সুতরাং এ ভয়াবহ করোনাভাইরাস বাংলাদেশে যে কোনো উপায়ে চলে এলে সেটি বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

jagonews24

সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

করোনাভাইরাস বর্তমানে কতটি দেশে পৌঁছেছে এবং কতজন আক্রান্ত ও মারা গেছেন সে বিষয়ে সভায় খোঁজ নেন মন্ত্রী।

দেশের প্রতিটি বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অবগত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় জরুরি সভার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অবহিত করলে মন্ত্রী এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন এবং ২৮ জানুয়ারি দুপুর ১২টায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে সভা আয়োজনের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ নাও ধরা পড়তে পারে। যেহেতু চীনে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন, সুতরাং তারা সবাই এখন ফিরতে গিয়ে এ ভাইরাস দেশে আনলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। কাজেই বাংলাদেশ-চীন যাতায়াত সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার উদ্যোগ নিতে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

jagonews24

পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক গভীর। দেশের বহু মানুষ বাণিজ্যিক কারণে চীনে যাতায়াত করেন। সুতরাং ভয়াবহ এ ভাইরাস বাংলাদেশে যে কোনো উপায়ে চলে এলে তা আমাদের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণে ২৮ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে চীনে ও চীন থেকে বাংলাদেশে সব ধরনের ভ্রমণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা যায় কি-না, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।’

এদিকে চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার বলছে, নতুন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। যদিও বেসরকারিভাবে বলা হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ক’দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকার।

এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।