মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত দুই ছাত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র মো. তানজিম আল ইসলাম দিবস ও ঢাকা কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান ধ্রুব অপহরণের ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে, ওই দুই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে অপহৃত দুই ছাত্রকে উদ্ধার ও অপহরণচক্রের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন-ফকর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রাসেল, রশিদুজ্জামান ওরফে তুষার, শফিকুল ইসলাম, এইচ এম মশিউর রহমান ওরফে পাপ্পু, ইমতিয়াজ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম ওরফে নিশান ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।

গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ৩টি মোটরসাইকেল, ম্যাগাজিনসহ ১টি পিস্তল, ৫টি ডিএমপির ডিবি পুলিশের পোশাক (জ্যাকেট), ডিএমপির পুলিশ সার্জেন্টের র‌্যাঙ্ক ব্যাজসহ ১টি ইউনিফরম (শার্ট) এবং পুলিশ কনস্টেবল পদমর্যাদার ১টি শার্ট, ৭টি স্টিলের লাঠি, ৩টি কালো রংয়ের ছোট-বড় ওয়্যারলেস সেট, ৪টি পিস্তল সদৃশ লাইটার, ৫টি সিরিঞ্জ, ২০টি ইনজেকশন, এক সেট সেনাবাহিনীর পোশাক তৈরির থান কাপড়, ১৫টি বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইলফোন এবং অ্যাপল কোম্পানির ১টি আইপ্যাড উদ্ধার করা হয়।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন।

Dhaka-(2).jpg

আবদুল বাতেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলামের ছেলে তানজিম আল-ইসলাম দিবস ও তার শ্যালক খালিদ হাসান ধ্রুব গত ২১ জানুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অপহৃত হয়। অপহৃত তানজিম রাজধানীর ধানমন্ডির ভার্টিক্যাল হরিজন (ভিএইচ) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ‘এ’ লেভেল এবং খালিদ হাসান ধ্রুব ঢাকা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

‘গত ২১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় জিগাতলার বাসা থেকে মহাখালী ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে যায় তানজিম। দুপুর ২টার দিকে তার বোনের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। মোহাম্মদপুর তাজমহল রোডে কাজ শেষে মামা খালিদ হাসান ধ্রুবকে নিয়ে তার বাসায় ফেরার কথা ছিল। পরে তানজিমের বাবা ফখরুল ইসলাম ও বোন কয়েক দফায় কল করে তার মোবাইলফোন বন্ধ পান। ২২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টায় অপরিচিত একজন তানজিমের মাকে ফোন করে জানান, তানজিম ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তানজিমের বাবা মোহাম্মদপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা নৌকা কোড ব্যবহার করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয়।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে আবদুল বাতেন জানান, গ্রেফতাররা পেশাগত অপহরণকারী চক্র। পূর্বে তারা অপহরণের ঘটনায় কারাগারে যান।

তিনি আরও জানান, অপহৃত তানজিমের বাবা ছিলেন অপহরণকারী চক্রের পক্ষের আইনজীবী। সে সুবাদে অপহরণকারীদের ভিকটিমের পরিবার সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা ছিল। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে তারা তানজিম ও তার মামা ধ্রুবকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে।

জেইউ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।