অপরিকল্পিত আবাসনে চ্যালেঞ্জের মুখে খাদ্য উৎপাদন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৫

ভবিষ্যতে দেশকে খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জে মুখে পড়তে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ভূমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কৃষি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পল্লী এলাকায় পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গ্রামীণ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে কৃষি জমি রক্ষা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষি জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

দৈনন্দিন জীবনে সার্বজনিক স্থানের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ঢাকা একটি জনবহুল শহরে পরিণত হয়েছে। একটি শহরে স্বাভাবিক চলাচলের জন্য মোট আয়তনের ২৫ভাগ সড়ক থাকার কথা। কিন্তু ঢাকা শহরে রয়েছে মাত্র ৮ভাগ।

এদিক বিবেচনায় ঢাকার নাগরিক জীবন অত্যন্ত অস্বস্তিকর। এই অস্বস্তিকর নাগরিক জীবনের জন্য পার্ক বা উন্মুক্ত স্থান খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান নেই। নেই উন্নতমানের কোন পার্কও। এ প্রেক্ষাপটে ঢাকা শহরে যেটুকু উন্মুক্ত স্থান রয়েছে তার যথাযথ সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি।
 
এসময় সার্বজনিক উন্মুক্ত স্থান রেখে বেসরকারি আবাসন ব্যবসায়ীদেরকে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। এর আগে মন্ত্রী “বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৫” উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, এম বজলুল করিম চৌধুরী, নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক খন্দকার ফওজী মুহাম্মদ বিন ফরিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জি. এম. জয়নাল আবেদীন ভূইয়া, ইউএনডিপি, বাংলাদেশস্থ কান্ট্রি ডিরেক্টর পাউলিন তামেসিস।

এসআই/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।