বিবেকের তাড়নায় তাবিথের বিরুদ্ধে মানিকের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ২৩ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের বিরুদ্ধে হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ অভিযোগ দেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বরাবর এ অভিযোগ দেন সাবেক এই বিচারপতি। তবে সিইসি বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।

কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেয়া হয়েছে বলে জানান মানিক। তিনি বলেন, আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে রিট করারও চিন্তা করছেন।

আপনি কেন এ অভিযোগ করলেন- জানতে চাইলে সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে করেছি এটা। আমার বিবেকে লেগেছে। আমি দেশের একজন নাগরিক। বিষয়টি যখন আমার চোখে এসেছে…দেশকে যারা ভালোবাসে, তারা গণতন্ত্রকে ভালোবাসে। এর সঙ্গে গণতন্ত্র ও দেশের ভবিষ্যৎ জড়িত।’

নির্বাচন ভবনে অভিযোগ করে সাংবাদিকদের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানি এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানিতে তিনজন শেয়ারহোল্ডার আছেন, তাদের একজন তাবিথ আউয়াল। অন্য দুজন তার সহযোগী। তিনজন মিলে এই কোম্পানির সব শেয়ারের মালিক। এই কোম্পানির মূল্য দেখিয়েছেন দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপর। এটা বিশ্বের যেকোনো দেশের টাকার অর্থেই বেশ বড়। এই কোম্পানির কথা তাবিথ আউয়াল তার হলফনামায় উল্লেখ করেননি। আইন হচ্ছে, তার ও তার পরিবারের সব সদস্যের সব সম্পদ হলফনামায় দেখাতে হবে। কিন্তু তাবিথ আউয়াল দেখাননি।’

তাবিথ আউয়াল যে ওই কোম্পানির মালিক, তা আপনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘উনি অস্বীকার করেননি, স্বীকারও করেননি। যে ডকুমেন্টগুলো দিয়েছি, এগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, এগুলো সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছে। প্রতিটি ডকুমেন্ট দেখলেই বোঝা যায়, এটি সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ দিয়েছে।’

গত দুদিন আগে এই ডকুমেন্টগুলো পেয়েছেন বলে জানান সাবেক বিচারপতি মানিক।

মনোনয়ন বাছাইয়ের সময় শেষ হয়ে গেছে। এখন কমিশনের কিছু করার আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কমিশন হচ্ছে সর্বোচ্চ। কমিশনকে দিয়েছি, তারা এখন বিবেচনা করবে। সব কাগজপত্রই দিয়েছি। এক্ষেত্রে আইন তো পরিষ্কার যে, মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকলে তার অর্থ উনি নির্বাচনের অযোগ্য। এখন সময় কম।’

মানিক বলেন, ‘তার মনোনয়ন আইনত বাতিল হতে বাধ্য। এখন সমস্যা হচ্ছে এই-সময়টা খুব কম। যদি আসলেই জিতে যায়, তাহলে কিন্তু উনি (তাবিথ) টিকতে পারবেন না, যদি তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। কারণ নির্বাচনের পরই এই প্রশ্ন আসবে। তখন যদি প্রতিষ্ঠিত হয় যে, উনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন হফলনামায়, তাহলে উনি আর থাকতে পারবেন না। তার সিট শূন্য হয়ে যাবে। আবার নতুন নির্বাচন হবে।’

পিডি/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।