কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তার আশ্বাস বিশ্বব্যাংকের
কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও বাণিজ্যিকীকরণে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিশ্বব্যাংকের প্র্যাকটিস ম্যানেজার লরিন রনচি এই আশ্বাস দেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিকে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য) প্রায় সকল সূচকে সাফল্য অর্জন করেছি। এখন ডেল্টাপ্লান বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ।’
টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও তা মোকাবিলায় অভিযোজন কার্যক্রমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী।
আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, ‘সরকারের দুর্বলতাগুলো ক্রমশ কমিয়ে জনগণের পক্ষে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত গড়ে তোলাসহ দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক শাসন ব্যবস্থা, মুক্তবুদ্ধি চর্চা ও গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ কীভাবে সমুন্নত করা যায় সেজন্য সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন ও সবার আয় বৃদ্ধির জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এ মুহূর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে দরকারি।’
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন সিনিয়র এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট ক্রিস্টিন বার্গার ও এগ্রিকালচার ইকোনমিস্ট সামিনা ইয়াসমিন।
এরপর মিশরের রাষ্ট্রদূত ওয়ালিদ আহমেদ শামসেল দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি মিশরের রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ঢাকা ও কায়রোর মধ্যে বোঝাপড়াটা চমৎকার এবং সম্পর্কটাও অনন্য উচ্চতায়। আমরা কৃষি পণ্যের নতুন বাজার খুঁজছি। ব্যবসা ও বাণিজ্য দুই দেশের সম্পর্কের সব সম্ভাবনাকে কাজে লাগতেই সচেষ্ট রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিশরের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার কথাও জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মিশরের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের সঙ্গে মিশরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি ও পর্যটন বিষয়ে সাধ্যমত কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন রাষ্ট্রদূত।
আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ