ফ্লাইট বিলম্বে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ ৫ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২০

আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে ফ্লাইট বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ মিলবে চার লাখ ৮৭ হাজার ৩৯০ টাকা। এমন বিধান রেখে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বর্তমান আইন (ওয়ারশ কনভেনশন) অনুযায়ী ফ্লাইট বিলম্বের কারণে ক্ষতিপূরণ ২০ ডলার বা এক হাজার ৭০০ টাকা। নতুন আইন অনুমোদিত হলে (মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী) সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে পাঁচ হাজার ৭৩৪ ডলার বা চার লাখ ৮৭ হাজার ৩৯০ টাকা।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আইন হয়ে যাওয়ার পর আমরা আইনের অধীনে একটি বিধিমালা করব। সেখানে কতটুকু বিলম্বের জন্য কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে, সেই বিষয়গুলো থাকবে। কারও ১০ মিনিট বিলম্বের জন্য তো পাঁচ লাখ টাকা দেয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো ফ্লাইট বিলম্ব হয়, তবে কতটুকু বিলম্বের জন্য কী পরিমাণ ক্ষতি হলো সে বিষয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করে যাত্রীকে আদালতে মামলা করতে হবে। যাত্রীকে ক্ষতির বিষয়টি প্রমাণ করতে হবে। তবেই তিনি ক্ষতিপূরণ পাবেন।’

bima

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, আকাশপথে পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু বা আঘাতপ্রাপ্ত হলে এবং ব্যাগেজ নষ্ট বা হারানোর ক্ষেত্রে ‘ওয়ারশ কনভেনশন-১৯২৯’ এর আলোকে আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচলিত ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার অ্যাক্ট, ১৯৩৪’, ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৬’ এবং ‘দ্য ক্যারেজ বাই এয়ার (সাপ্লিমেন্টারি কনভেনশন) অ্যাক্ট ১৯৬৮’ আইন আছে।

এই তিনটি আইনের আলোকে প্রাণহানি, আঘাত ও ব্যাগেজ বা কার্গো হারানোর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ খুবই নগণ্য ছিল এবং ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি সময় সাপেক্ষ ছিল। এ কারণে ২০১৭ সালে নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা নামমাত্র ক্ষতিপূরণ পাবে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ উক্ত কনভেনশনে ১৯৯৯ সালেই স্বাক্ষর করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ১৯৯৯ সালে মন্ট্রিল কনভেনশন গ্রহণের পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশে তা রেটিফিকশন (অনুসমর্থন) করা হয়নি। মন্ট্রিল কনভেনশনটি রেটিফিকশন করে নতুন আইন প্রণয়ন করলে মৃত্যু, আঘাত ও মালামাল হারানো বা নষ্ট হওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাওয়া সহজ হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ট্রিল কনভেনশনের রেটিফিকশন এবং যাত্রী মৃত্যু, আঘাত ও মালামাল নষ্ট বা হারানোর ক্ষতিপূরণ প্রদান সহজীকরণের জন্য মন্ট্রিল কনভেনশনের আলোকে ‘আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন, ১৯৯৯) আইন, ২০২০’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।

আরএমএম/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।