দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় ই-পাসপোর্ট পাবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২০

একসময় হাতেলেখা পাসপোর্টে বিদেশ যেত মানুষ। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইসিএও) ঘোষণা অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের পর হাতেলেখা পাসপোর্টে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। এরপর চালু হয় মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)।

আর আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে আধুনিক প্রযুক্তির ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে। ইতঃপূর্বে বেশ কয়েকবার ই-পাসপোর্ট চালুর কথা শোনা গেলেও পরে তা পিছিয়ে যায়।

রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল আগামী ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান।

তিনি জানান, আপাতত আগারগাঁও, উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হবে।

ই-পাসপোর্ট চালুর খবরে দেশের মানুষের মনে কৌতূহল জাগে, দেশের প্রথম ও দ্বিতীয় ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন, কারা সেই সৌভাগ্যবান।

আজ প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মৃদু হেসে বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেই ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে।

পরবর্তীতে সাধারণ মানুষের আবেদনের ভিত্তিতে ই-পাসপোর্ট দেয়া হবে। চলতি বছরের মধ্যে সারাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ই-পাসপোর্ট দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হচ্ছে। এটি চালু হলে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না ই-পাসপোর্টধারীদের। মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই দেশ-বিদেশের ই-গেট দিয়ে নির্বিঘ্নে বেরিয়ে যেতে পারবেন ই-পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি নাগরিকরা।

এমইউ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।