অধ্যাপক আবদুল হালিম এর মৃত্যুতে ঢাবি উপাচার্যের শোক


প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মো. আবদুল হালিম-এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। মো. আবদুল হালিম শনিবার রাতে রাজধানীর একটি ক্লিনিকে মৃত্যুবরণ করেন।

রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ শোক জ্ঞাপন করেন। শোকবাণীতে উপাচার্য বলেন, অধ্যাপক মো. আবদুল হালিম একজন মেধাবী শিক্ষক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ছিলেন।

তাঁর মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একজন কৃতি শিক্ষককে শুধু নয়, একজন মানবিক, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বকেও হারিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বিশেষ করে মানবাধিকার সুরক্ষা, পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতিমালা এবং মূল্য নিরূপণ সম্পর্ক বিষয়ে তাঁর বিশেষজ্ঞতার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উপাচার্য মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মো. আবদুল হালিম-এর জন্ম ১৯৫২ সালে পিরোজপুর জেলার মটবাড়িয়ায়। তিনি ১৯৬৭ সালে এসএসসি ও ১৯৬৯ সালে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ১ম স্নাতক সম্মানের ছাত্র হিসেবে ১৯৭২ সালে অনার্স এবং ১৯৭৩ সালে মাস্টার্স পাস করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি কানাডার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি শিক্ষকতায় যোগদান করেন ১৯৭৫ সালে। ১৯৮৮ সালে তিনি অধ্যাপক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং ১৯৮৫-৮৮ সালে বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূলনীতি’ (১৯৮৪) ও ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অর্ধ শতাব্দীর ইতিহাস’ (১৯৮৬) শীর্ষক দু’টি গ্রন্থ ছাড়াও অর্ধশত গবেষণা প্রবন্ধ দেশে-বিদেশে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রনীতিতে সামরিক সম্পর্ক এবং রুশো আমেরিকা সম্পর্কের বিষয়ে তাঁর রচনা বিশেষজ্ঞদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি ‘থিওরী অ্যান্ড রিসার্চ ইন ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স’ এবং ‘ডেভেলপমেন্ট প্রবলেম ইন সাউথ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়া’ বিষয়ে সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল ৩ অক্টোবর ২০১৫ শনিবার রাতে নগরীর একটি ক্লিনিকে মো. আবদুল হালিম মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদুল জামিয়ায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাকে নিজ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মটবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।     

এমএইচ/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।