ঘুমনোর কতক্ষণ আগে ডিনার করা স্বাস্থ্যকর


প্রকাশিত: ০৭:১১ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৪

প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে কী করেন। নিশ্চয় টিভি দেখেন বা ম্যাগাজিনের পাতা ওলটান অথবা বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে গল্প গুজব করেন। মোদ্দা কথা, অ্যাকটিভ লেভেল একেবারেই কম থাকে। আমরা এখন এমন লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত যে, বাড়ি ফিরেই ডিনার খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না।

তখন চাই জলখাবার। আর সেটা যদি চিপস, চানাচুর, তেলেভাজা হয়, তা হলে তো কথাই নেই। তারপর রাত করে পছন্দের সিরিয়াল দেখতে দেখতে ডিনার। মনে হতেই পারে, এতে অসুবিধের কী আছে। আপনার অসুবিধে না থাকলেও, পেটের অসুবিধা থাকতে পারে। ওভারলোডিংয়ের ফলে সে খাবার হজম করতে পারে না। তাই, সন্ধ্যে ছয়টা-সাড়ে ছয়টার মধ্যে প্রপার মিল নিন। আবার আটটা-সাড়ে আটটায় খুব হাল্কা কিছু খান।

রোজকার আরেকটা খারাপ অভ্যাস হল, প্রচুর খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পরা। খালি পেটে যেমন ঘুম আসে না, ঠিক তেমনই বেশি খেলে ঘুম ভাল হয় না। ক্যালরি বার্নের জন্যে ভাল ঘুম খুব দরকার। কারণ, আমরা যখন ঘুমোই, বডি সেল রিপেয়ার হয়( ঠিক যে কারণে আমরা রাতে মুখে দামি ক্রিম লাগাই), হরমোনাল ব্যাল্যান্স ভাল হয়, সেল রিজুভিনেশন হয়, পরের দিনের জন্যে আমাদের শরীর তৈরি হয়। ঘুম ভাল না হলে হরমোন বা লিন টিস্যু, ফ্যাট বারনিং প্রসেসকে সাপোর্ট করতে পারে না। রাতে ঘুমনোর সময় শরীরের কাজ একমাত্র ‘রিপেয়ার অ্যান্ড রিজুভিনেট’।

একবার যদি বেশি খেয়ে ফেলেন,তা হলে শরীর দোটানায় পরে যায়। খাবার হজম করবে না, না সেল রিপেয়ার করবে বুঝতে পারে না। ফলে, খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, সেল রিজুভিনেটও পুরোপুরি হয় না। ফলে, সকালে ঘুম থেকে উঠে শুধু ক্লান্তই লাগে না, পেট ফুলে যায়, অ্যাসিডিটি হয় , ঢেঁকুড় ওঠে। নিয়মিত, সাড়ে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে সকালে তাড়াতাড়ি বিছানা ছাড়লে, দেখবেন শরীর ও মন ভাল থাকবে, মেজাজ ফুরফুরে থাকবে। এতে আপনার শরীর সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।