নির্দিষ্ট সময়ে হাজিদের ফেরা নিয়ে শঙ্কা


প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

ফিরতি হজ ফ্লাইটে হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের সিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী ২৮ অক্টোবরের মধ্যে সব হাজি দেশে আসার কথা। কিন্তু বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে তা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিমানের ফ্লাইট অপারেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে একটি করে ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিমানের সিডিউল ফ্লাইট বিজি-৪০২২ জেদ্দা থেকে ছেড়ে আসেনি। শুক্রবার জেদ্দা থেকে ছেড়ে আসেনি বিজি-৬০২২। সর্বশেষ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় জেদ্দা থেকে ছাড়ার কথা ছিল বিজি-০০৩৮। শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সেটিও ছেড়ে আসেনি। কবে আসবে বলতে পারছেন না ফ্লাইট অপারেশন সংশ্লিষ্ট কেউই।

এ বিয়য়ে বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক খাঁন মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, জেদ্দায় সমন্বয়হীনতার কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। এজন্যে তিনি জেদ্দার অবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। তবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিমান ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা এভাবে প্রতিদিন ফ্লাইট বাতিল হতে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের পরও আরো সপ্তাহ খানেক সময় লেগে যাবে হাজিদের দেশে আনতে। এতে বিমানের ব্যয়ও বাড়বে। প্রতিবছর হজ ফ্লাইট পরিচালনায় এমন অব্যবস্থাপনার কারণে বিমানকে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

জানা গেছে, প্রতি বছর এভাবে আর্থিক ক্ষতি ও বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাদের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে এসবের পুনরাবৃত্তি ঘটছে তার তদন্ত হয় না।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মাসব্যাপি পরিচালিত পোস্ট হজ-ফ্লাইট কার্যক্রমের আওতায় ১০৯টি ডেডিকেটেড এবং ৩১টি সিডিউল ফ্লাইটসহ ১৪০টি ফ্লাইটের মাধ্যমে মোট ৫৪ হাজার আটশত ৪৫ জন হাজি দেশে ফিরিয়ে আনবে।

বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৭৪২ জনসহ মোট এক লাখ সাত হাজার ২৯০ জন হাজি সৌদি গেছেন। বিমান ১১৯টি ডেডিকেটেড ও ৩৩টি সিডিউল ফ্লাইটসহ ১৫২টি ফ্লাইটের মাধ্যমে মোট ৫৪ হাজার ৮৪৫  হজযাত্রী পরিবহন করার কথা।

আরএম/এসকেডি/জেডএইচ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।