প্রত্যয়ের ভিসেরার নমুনা সিআইডির ল্যাবে


প্রকাশিত: ০২:৫১ পিএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫

রেডিও জকি সামিউল কবীর প্রত্যয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে ভিসেরার নমুনা সিআইডির কেমিক্যাল ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক ময়নাতদন্ত শেষে ভিসেরার নমুনা হিসেবে পাকস্থলি, যকৃত ও কিডনি সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ প্রত্যয়ের লাশের ময়নাতদন্ত করেন।

এছাড়া কি কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েছে তা জানতে হৃদপিণ্ডের নমুনা হিস্টোপ্যাথিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঢামেকের হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজধানীর রূপনগরে নিজের বাসা থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার মামা সাঈদ কবীর গণমাধ্যমকে জানান, রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকার ২/১ নম্বর সড়কের তিন নম্বর বাসার ৩য় তলায় থাকতেন প্রত্যয়।
 বুধবার রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান। বৃহস্পতিবার সকালে তার মা স্কুল শিক্ষিকা হামিদা বেগম গুলশানে কর্মস্থলে যান। দুপুরে তার ছোট ভাই শাফিউল কবীর অরিত্র যান তার শ্বশুরবাড়িতে। এর পর থেকে প্রত্যয় একাই বাসায় ছিলেন।

শুক্রবার সকালে গৃহকর্মী মরিয়ম ওই বাসায় যান। বাসার ভেতরে ঢুকে  তিনি প্রত্যয়কে ‘ঘুমন্ত’ দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করে তিনি বুঝতে পারেন প্রত্যয় বেঁচে নেই। চিকিৎসকদের বক্তব্যের ভিত্তিতে স্বজনদের ধারণা, ব্রেইন স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রত্যয়ের বাবা আবদুল হাদী প্রায় ১০ বছর আগে একইভাবে স্ট্রোক করে মারা যান। পরে তার মা আবারও বিয়ে করেন। তিনি মাঝে মাঝে রূপনগরের বাসায় এবং বাকি সময় নিকেতনে স্বামীর সঙ্গে থাকেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রত্যয় এবিসি রেডিওতে ‘অন দ্য রান’ ও ‘কুয়াশা’ নামে দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন। এর আগে তিনি রেডিও টুডেতে কাজ করেছেন। মাসখানেক আগে তিনি এবিসি রেডিওর চাকরি ছেড়ে দেন।

রূপনগর থানার ওসি রেজাউল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শুধু নাক-মুখে রক্তের দাগ ছিল। মৃতদেহ ফুলে গেছে ও ডান হাতে নীল ফোস্কা পড়েছে।

তিনি বলেন, সম্ভবত বুধবার রাতেই তার মৃত্যু হয়। দু’দিন লাশটি পড়ে থাকায় তা পচতে শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক শনিবার সন্ধ্যায় মহাখালীর সিআইডি কেমিক্যাল ল্যাবরেটরির প্রধান ড. দিলীপ কুমার ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ভিসেরার নমুনা এখনও তাদের হাতে পৌঁছেনি। কতদিনের মধ্যে ভিসেরার রিপোর্ট দেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নমুনা হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

এমইউ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।