ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পাশাপাশি এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করাসহ যথাযথ শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গতকাল রোববার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরেন। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে তার চেতনা ফেরে। পরবর্তীতে তার সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
মহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করছি যে, স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন কর্মে নিয়োজিত নারীরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যা এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। আবার কখনো কখনো এসব ঘটনার প্রতিবাদ করায় পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী, কিশোরী ও নারীরা বখাটেদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীসহ নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং তাদের স্বাধীন চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। যা দেশে সফল অগ্রযাত্রায় বাধার সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি আমরা। পাশাপাশি সারাদেশে সংঘটিত নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং এই ঘটনার শিকার ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এএস/এনএফ/পিআর