বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে নতুন ফন্দিতে সিনারফ্লাক্স


প্রকাশিত: ০৬:০৯ এএম, ০৩ অক্টোবর ২০১৫

বাংলাদেশের শ্রম বাজার নিয়ে নতুন ফন্দি এঁটেছে সিনারফ্লাক্স নামে মালয়েশিয়ান একটি কোম্পানি। সিনারফ্লাক্স বাংলাদেশি এক নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে জিটুজি বা বিটুবি বাদ দিয়ে মনোপলি ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে ।

মালয়েশিয়ায় অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বেসটিনেট নতুন এই কোম্পানির নাম দিয়ে এ ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে বলে সে দেশের ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।

মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসকে গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি নথি প্রেরণ করে। যেখানে বাংলাদেশ ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  (বিডাব্লিউএমএস) নামে নতুন একটি বিষয় সর্ম্পকে বলা হয়। পাশাপাশি বিষয়টি সিনারফ্লাক্স এসডিএন বিএইচডি নামে একটি কোম্পানির হাতে দেয়া হয়।

ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে , বাংলাদেশি শ্রমিকদের বায়ো মেডিকেল চেক-আপ থেকে  শুরু করে, ভিসা প্রসেসিং, পাসপোর্ট তৈরি এবং নবায়নসহ শ্রমিকদের নিয়োগ এবং নিবন্ধনের বিষয়টিও থাকবে সিনারফ্লাক্স কোম্পানির হাতে।

এদিকে, মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ শ্রমিকদের দেশে ফেরত আনার কাজটি কাগজে কলমে করছে বেসটিনেট।  বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বাড়তি ১২শ রিঙ্গিত নেয়া ছাড়া কিছুই করছে না বেসটিনেট।

Malaishea

এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাস অনেক আপওি করার পরও মানছেন না কোম্পানির কর্তারা। তারা সাফ জানিয়েছেন সরকারের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে কাজ করার জন্য লিজ নিয়েছে। এ বিষয়ে হাই কমিশন অনেকটা অসহায় বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সিনারফ্লাক্সের এ অপকর্মের পিছনে পুরনো কোম্পানি বেসটিনেটকেই ইঙ্গিত করছে পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সূত্র। আর এর মূলে রয়েছেন আমিনুর রশিদ নামে একজন বাংলাদেশি। যিনি বেসটিনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ কোম্পানিরই একজন পরিচালক হচ্ছেন মালয়েশিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী আজমী খালিদ এবং শ্রম বিভাগের সাবেক পরিচালক দাতুক টেংকু ওমর টেংকু বট।  শ্রমিক নিয়োগ এবং শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বাংলাদেশিদের হাতে থাকবে না বলে শংকা করছেন অনেকে।

এ খবরে মালয়েশিয়ায় গত দু দিন ধরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শ্রম বাজার ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতারা।

কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ বলছেন, কিছু কুচক্রীমহল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য শ্রমবাজার নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। কোন সিন্ডিকেট নয় কম খরচে কিভাবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় আসতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে এবং আমাদের দেশি কোন ভাই মালয়েশিয়ায় এসে কোন ধরণের বিপদে না পড়ে।

মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ লোক নেবে। সম্প্রতি তাদের কেবিনেটে বিষয়টির নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কিন্তু, বাংলাদেশ এবং কিছু কুচক্রি মহল এটিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা চাই সকলে ব্যবসা করুক। তবে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে সুষ্ঠুুভাবে মালেশিয়ায় শ্রমিক আমদানি করবেন বলে আশাবাদী কমিউনিটির নেতারা।

এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।