চলতি মাসেই ভারত শুনবে বাংলাদেশ বেতার
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সম্প্রচারের পর এবার বাংলাদেশ বেতার শুনবে ভারত। নতুন বছরের প্রথম মাসের মধ্যেই সারা ভারতে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ তথ্য জানান।
বিগত বছরের সাফল্য তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে কাজগুলো কয়েক যুগে হয়নি। ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখানোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল বহু বছর আগে থেকে, কয়েক যুগ আগে থেকে। কিন্তু সেটি সম্ভবপর হয়নি। গত বছর ২ সেপ্টেম্বর থেকে দূরদর্শনের ফ্রি ডিসের মাধ্যমে সমগ্র ভারতে অফিসিয়ালি বাংলাদেশ প্রদর্শিত হচ্ছে।’
এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া বছর প্রদর্শনের ক্ষেত্রে টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রম নির্ধারণ, বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ, বিদেশি টেলিভিশনের বিদেশি অনুষ্ঠান প্রচার নিয়মনীতির মধ্যে আনা হয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।
আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে অবৈধ ডিটিএইচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে এ ব্যাপারে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যারা ব্যবহার করবে কিংবা যারা সংযোগ প্রদান করবে উভয়েই দোষী বলে সাব্যস্ত হবে, আইন অনুযায়ী।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় একটি ছবি নির্মিত হচ্ছে, এই ছবির কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’
‘নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করা হয়েছে। খুব সহসা বাংলাদেশ টেলিভিশনের মতো বেতারও ভারতে সম্প্রচারিত হবে। আমরা আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই আমরা সেটি করতে সক্ষম হব। পুরো ভারতেই বাংলাদেশ বেতার শোনা যাবে’ -বলেন মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবি ছিল, চলচ্চিত্র শিল্পীদের জন্য একটি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা। সেই কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করার লক্ষ্যে ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে, এটি আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত হয়ে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে সেটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, খুব সহসা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সংসদে নিয়ে যেতে পারব।’
তথ্য মন্ত্রণালয় ১৮টি আইন, বিধি, নীতিমালা প্রণয়ন/সংশোধন/ হালানাগাদের কাজ চলছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী। এছাড়া গণমাধ্যমকর্মী আইন খুব সহসা মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাংবাদিকদের দাবি অনুযায়ী আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘৬৪ জেলায় আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ডিপিপি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে একটি হলও থাকবে, সেই হল আমরা ভাড়াও দিতে পারব।’
এ সময় তথ্য সচিব কামরুন নাহারও উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/আরএস/এমএস