রংপুর মেডিকেলের পাঁচ ডাক্তারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঁচ ডাক্তারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলে অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওষুধসহ হাসপাতালের বিভিন্ন খাতে ক্রয় দেখিয়ে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিনা দরপত্রে সাড়ে ৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই রংপুর সদর থানায় মো. সিরাজুল হক বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
সংস্থার দফতর থেকে জানানো হয়, দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে গত ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) এ চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়। এখন শিগগিরই সংস্থার পক্ষ থেকে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।
মামলায় আসামিরা হলেন- রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আ স ম বরকত উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. মো. শফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক ডা. বিমল কুমার বর্মণ, সাবেক উপ-পরিচালক ডা. পরিতোষ কুমার দাস গুপ্ত ও সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. জহিরুল হক।
এছাড়া হাসপাতালের প্রধান মেডিসিন স্টোরের ইনচার্জ ফার্মাসিস্ট মো. আনিছুর রহমান, ফার্মাসিস্ট মো. মোকছেদুল হক, স্টুয়ার্ড মো. আজিজুল ইসলাম ও মো. আসাদুজ্জামান, চার ঠিকাদার রংপুরের স্থানীয় মেসার্স ম্যানিলা মেডিসিনের স্বত্ত্বাধিকারী মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মালিক মোসাদ্দেক হোসেন, মেসার্স অভি ড্রাগসের মালিক মো. জয়নাল আবেদীন, মেসার্স আলবিরা ফার্মেসির মালিক মো. আলমগীর হোসেন ও এস এম ট্রেডার্সের মালিক মো. মন্টুকে আসামি করা হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে হাসপাতালের জন্য ওষুধসহ বিভিন্ন খাতে ৮ কোটি ৬১ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৯ টাকা আত্মসাৎ ও বিনা দরপত্রে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমএসআর (মেডিসিন, সার্জিক্যাল, রি-অ্যাজেন্ট) খাতে ইনজেকশন সেমিপাইম-১ ক্রয় দেখিয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬ টাকা ও পথ্য খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩২ টাকা আত্মসাৎ এবং বিনা দরপত্রে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৬ টাকার কার্যাদেশ প্রদান করেছিলেন।
এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ