মেয়াদোত্তীর্ণ পাউরুটিতে সয়লাব বাজার
বাজারে সয়লাব বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কেক বিস্কুট পাউরুটি। নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের এসব পণ্য আকর্ষণীয় মোড়কে বিক্রি হচ্ছে। যার গায়ে নেই উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। ফলে প্রতিনিয়ত বাসি পচা ভেজাল বেকারি পণ্য কিনে ঠকছেন ক্রেতারা। আর নিম্নমানের রুটি বিস্কুট খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন ভোক্তারা।
সোমবার রাজধানীর পুরান ঢাকার লালবাগ ও নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ অপরাধে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে সংস্থাটি। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
অভিযান প্রসঙ্গে আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের বেকারি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে পাউরুটি বিস্কুট ও কেক অন্যতম। কিন্তু এসব পণ্যের মোড়কে খুচরা মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নেই। পণ্যগুলো কবে তৈরি করেছে, তার কোনো প্রমাণ নেই। এ সুযোগে বাসি পচা পাউরুটি কেক বিস্কুট বিক্রি করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআইয়ের লগো ব্যবহার করছে। কিন্তু তারা বিএসটিআইয়ের আইন মানছে না। বিএসটিআইয়ের আইন অনুযায়ী মোড়কজাত পণ্যের গায়ে মূল্য, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা বাধ্যতামূলক রয়েছে।
নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের এসব পণ্য বিক্রি না করার জন্য বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এসব পণ্য আর বিক্রি করবে না।
অভিযানে অভিযুক্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে লালবাগ এলাকার হক বেকারিকে পাঁচ হাজার টাকা, সাগর সম্বারকে পাঁচ হাজার টাকা, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে জহিরের হোটেলকে পাঁচ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় বিক্রির অপরাধে শুভেচ্ছা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে সিয়াম মেডিসিনকে ২০ হাজার টাকা, বুশসা জেনারেল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং লুৎফর হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসআই/জেএইচ/এমকেএইচ