এমপি হান্নানসহ ৪ মানবতাবিরোধী কারাগারে


প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হওয়া জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ট্রাইব্যুনাল বন্ধ থাকায় তাদেরকে আদালতে হাজির করার পর শুক্রবার বিকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর (সিএমএম) আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
 
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক তাদের চারজনকে খণ্ড নথিমূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে রোববার ওই খণ্ডনথি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় কোনো ধরণের শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়নি।
 
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর নিজ বাসা থেকে ছেলেসহ হান্নানকে গ্রেফতার করে বনানী থানা পুলিশ। বাকি দুজনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন।
 
এর আগে প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে এমপি এম এ হান্নানসহ ময়মনসিংহের আট জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরোয়ানা জারির পর পরই গ্রেফতার অভিযানে নামে পুলিশ।
 
গত ১৯ মে হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতে মামলাটি করা হয়। ওই মামলা ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।
 
মামলায় হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফকরুজ্জামান ও শহরতলীর গলগণ্ডা এলাকার গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। মামলার বাদি রহিমা খাতুন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মুন্সীপাড়ায়।
 
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সক্রিয় সহায়তার কাজে হান্নান ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ফকরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানি আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য হিসেবে হান্নানের সহযোগী ছিলেন।
 
আসামিরা নিজেরা ও তাদের রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্যাপক গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসষজ্ঞ চালান বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
 
৮০ বছর বয়সী হান্নান ময়মনসিংহ-৭ আসনের (ত্রিশাল) সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য।
 
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে এর আগেও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার ইঞ্জিনিয়ার এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ কায়সারের সাজা হয়। তাছাড়া দণ্ডিতদের মধ্যে বিএনপির সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ছাড়া বাকি প্রায় সবাই জামায়াতে ইসলামী।
 
এফএইচ/জেডএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।