ইভিএমে অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সম্ভব নয়
ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেছেন, ইভিএমে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে কাস্টমাইজ করা হয়। তবে দলের বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে পারব না। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বলতে পারি, ইভিএমে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, তারপরও কেউ যদি রিচেক করতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাই। আমরা ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করব। কারও সন্দেহ থাকলে, তারা এসে দেখতে পারেন। যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি তাতে আমরা কনফিডেন্ট, কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড কারও পক্ষে করা সম্ভব হবে না। কারও কনফিউশন থাকলে আমরা তাদের পৌঁছে যাব।
এনআইডির ডিজি বলেন, টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করেছি। ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পান, সে জন্য বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হবে, সেখানে সহজেই লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে ভোট প্রদান করার বিষয়ে এবং কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে। ভোটের আগে ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি প্রত্যেক কেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে সে বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ২৮ জানুয়ারি ফাইনাল মক ভোটিং করা হবে, সেখানে সশস্ত্র বাহিনীর টেকনিক্যাল টিমও মোতায়েন থাকবে। ৩০ তারিখের মতো সেদিন মক ভোটিংয়ে কেন্দ্রগুলো সাজানো হবে।
ইভিএমে রিকাউন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, লক সিস্টেম থাকবে। কেউ আবেদন করলে সেই সুযোগ রয়েছে। বিধি মোতাবেক সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে কেউ পুনরায় কাউন্ট করতে চাইলে কমিশনে আবেদন করতে হবে, পরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। টোটাল সিস্টেম সংরক্ষণ করা হয়, সেখানে লক সিস্টেম রয়েছে। সেই সিস্টেমে এই তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কেউ যদি ভবিষ্যতে এটি দেখতে চায় সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা রয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা থাকবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করলে তাদের জন্য সুবিধা হবে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ হবে। নিরাপত্তার জন্য আনসার-পুলিশসহ প্রত্যেক কাজই আমরা করব। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র্যাব-বিজিবি অন্যান্য সময়ে যেমন থাকে সেভাবেই থাকবে। তবে তার সংখ্যা কত হবে সেটির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কোনগুলো, কোন কোন কেন্দ্রের রাস্তা সে রকম ভালো না- সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা সিটি এলাকার শতভাগ স্মার্টকার্ড বিতরণের জন্য আমরা ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেকের কাছে যেন স্মার্টকার্ড পৌঁছে যায় সে জন্য থানা নির্বাচন অফিসারদের নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও রয়েছে তার ভোটার নম্বর যেটি, সেটি দিয়েও ভোটারকে চিহ্নিত করতে পারব।
এইচএস/বিএ/জেআইএম