বয়সসীমা ৩৫ বাস্তবায়নে আমরণ অনশনের সঙ্গে বিক্ষোভের ডাক
সরকারি চাকরিতে যোগদানের বসয়সীমা ৩৫ করাসহ চার দফা দাবিতে টানা ১৯ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মীরা। দাবি বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনের সঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, 'জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কনকনে শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে টানা ১৯ দিন ধরে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এতে আমাদের পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার মধ্যে তিনজনকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। বাকি দু'জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি বাস্তবায়নে কোনো আশ্বাস দেয়া হয়নি।'
তিনি বলেন, 'এর প্রতিবাদে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় এবং শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ গণসমাবেশ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নেতাকর্মীরা সম্মিলিত হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।'
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানান, শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে টানা অবস্থান করে প্রাণ হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবুও চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ করাসহ চার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন থেকে সরে যাবেন না। জীবনের বিনিময়েও যদি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর দাবি পূরণ হয় তবুও তারা ধন্য হবেন বলে জানান।
তারা বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, বিশ্ব মানবতার মা হিসেবে আপনি ২৮ লাখ শিক্ষার্থীর কথা বিবেচনা করে এবং নির্বাচনী ইশতেহার খুব শিগগিরই বাস্তবায়ন করবেন।'
আমরণ অনশনে উপস্থিত ছিলেন- সুরাইয়া ইয়াসমিন, রেশমা আক্তার, মোশারফ সুহেল, জিয়াউর রহমান, মুসাদ্দেক আলী রাসেল, উজ্জল সরকার, উজ্জল কুমার বিশ্বাস, উজ্জল কুমার বিশ্বাস, এস এ সজীব আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, মাসুম বিল্লাহ্, পারভেজুর রহমানসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের এ গণঅনশন শুরু হয়। এ আন্দোলন পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দিলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
এমএইচএম/এফআর/পিআর