স্যার আবেদ বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছেন : আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ সারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছেন। সারাজীবন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করে। তার প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সুন্দরভাবে চলে, আমরা সেই কামনা করি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) আর্মি স্টেডিয়ামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে এসে এসব কথা বলেন তিনি। বেলা ১১টায় আতিকুল ইসলাম আর্মি স্টেডিয়ামে আসেন ও শোক বইয়ে তাকে স্মরণ করে কিছু কথা লেখেন।
রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ সাদা ফুলে ঘেরা লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়। সেখানে আগে থেকেই ব্র্যাকের কর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষজন অপেক্ষায় ছিলেন।
মরদেহ সেখানে রাখার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে মেজর আশিকুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপ-সামরিক সচিব কর্নেল মো. সাইফুল্লাহ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ড. মো. তামিম আবেদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানান।
ফজলে হাসান আবেদের প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে সকাল ৯টায় সর্বসাধারণের জন্য গেট খুলে দেয়া হয়েছে। একে একে মাঠে প্রবেশ করছেন সবাই। শ্রদ্ধা জানানোর পর দুপুর সাড়ে ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই হবে তার জানাজা। এরপর বিকেলে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস চেয়ার স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধী অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। ২৮ নভেম্বর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এআর/এসআর/পিআর