জীবনের শেষ মুহূর্তেও মানুষের কথা ভেবেছেন স্যার ফজলে হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৭ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মৃতিচারণ করে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেছেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ সবসময় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর যখন উনার মুখে অক্সিজেন লাগানো তখনও তিনি তার মেয়েকে ডেকে বলেছেন, আমাদের নতুন স্কুলগুলোকে কিন্তু মডেলে পরিণত করতে হবে। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষের কথা ভেবেছেন তিনি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে স্যার ফজলে হাসান আবেদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। স্যার ফজলে হাসান আবেদের মৃত্যুর পর সার্বিক বিষয় জানাতে রাতে অ্যাপোলো হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাক নিয়ে তার কোনো স্বপ্ন বা দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আসিফ সালেহ বলেন, গত ৪/৫ মাস ধরে তিনি ব্র্যাকের গ্লোবাল গভর্নেন্স নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। একটি গ্লোবাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে যেখানে তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সেই গ্লোবাল বোর্ডের মাধ্যমে ব্র্যাকের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এছাড়া আমরা যারা কর্মী রয়েছি তারা সবাই মিলে ব্র্যাককে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি ব্র্যাক শুরু করেন। বিদেশে ভালো চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে। ব্র্যাকের কার্যক্রম এখন ১৪টি দেশে আছে। তিনি সবসময় বলতেন, ব্র্যাক শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, একটি স্বপ্ন। যেটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে আমরা সবাই মিলেই কাজ করব।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক জানান, রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজার পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বিশিষ্টজনরা হাসপাতালে ছুটে যান। সংবাদ শুনে হাসপাতালে যান আরেক বিখ্যাত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সাবেক স্বতন্ত্র এমপি ফজলুল আজিম, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ প্রমুখ।

এএস/এইচএস/আরএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।