বৈষম্য নিরসনে সময় দিতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন আমাদের মুক্তি দরকার। স্বীকার করি, এখানে অনেক অবিচার হচ্ছে, আয় বৈষম্য হচ্ছে। অনেকগুলো বৈষম্য, অবিচার মোটেও ন্যায়সঙ্গত নয়, গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো সরানোর প্রয়োজন আছে। সরাতে গেলে আমাদের সময় দিতে হবে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সাতারকুলে ইউনাইটেড ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী দ্বিতীয় ‘ন্যাশনাল এইচআর কনভেনশন ২০১৯’-এ এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বৈষম্য দূরের কাজে সবার সহযোগিতা চেয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই সংগ্রামে সবার কাজের সহযোগিতার যেমন প্রয়োজন, তেমনি নেতৃত্বেরও প্রয়োজন আছে। আমি মনে করি, এই মুহূর্তে আমাদের সৎ এবং সুদৃঢ় নেতৃত্ব আছে। এখন আমাদের দায়িত্ব হবে, বর্তমান নেতৃত্ব গত কয়েক বছরে দেশে যদি পরিবর্তন এনে থাকে, আপনাদের জ্ঞানে যদি এটাকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন, তাহলে বসে না থেকে সমর্থন দেন।’
দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, তাতে একমত না হলে সমর্থন দিতে হবে না বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান দেখে, চিত্র দেখে, পরিবর্তন দেখে যদি আপনার বিশ্বাস হয়, পরিবর্তন মোটামুটি এসেছে, আরও দরকার আছে। তাহলে আমি আহ্বান রাখব, লজ্জাকে দূরে সরিয়ে বলুন যে, মোটামুটি কাজ ভালো হচ্ছে। আর যিনি করছেন, তাকে যদি বিদেশিরা সম্মান দিতে পারে, তাহলে আমাদের আপত্তি কোথায়।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা দ্রুত বাড়ছি। এই সমন্ধে কোনো সন্দেহ নেই। সমীক্ষা তাই বলে। পথেঘাটেও দেখা যায়। আমাদের প্রতিবেশ-পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের চিন্তার জগতেও দিন দিন পরিবর্তন আসছে।’
সংসদ সদস্য অরমা দত্ত বলেন, ‘আমি আশা করব, হিউম্যান রিসোর্স খাতে আরও অনেক বেশি নারী যুক্ত হবে। নারীরা ঘরে ও বাইরে ভালো ম্যানেজ করতে পারে। তাই আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অনুরোধ করব, তারা আরও বেশি করে এই খাতে নারীদের সম্পৃক্ত করবেন। আর আমাদের সরকারেরও উদ্দেশ্য, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা।’
এ সময় ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মফিজুর রহমানসহ কয়েক শ দেশি-বিদেশি অতিথি ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পিডি/এমএসএইচ/এমএস