ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা থেকে এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার
বাগেরহাটের শরণখোলায় ব্যাংক কর্মকর্তার বাসা থেকে আসাদুজ্জামান রিপন (৪৮) নামে এক এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আসাদুজ্জামান রিপন শরনখোলার সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) নামক এনজিওর ক্লাস্টার ফেসিলেটর ছিলেন। তিনি বরগুনার পূর্ব কেওড়াকান্দি গ্রামের মৃত আ. মজিদের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবসী সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) নামের একটি এনজিও জনতা ব্যাংক শরণখোলা শাখার কর্মকর্তা মো. এমাদুল হকের রাজৈর এলাকার বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ১জুন বরগুনার আসাদুজ্জামান রিপন ওই এনজিওর আওতায় পরিচালিত নতুন জীবন প্রকল্পের ক্লাস্টার ফেসিলেটেটর পদে যোগদান করেন। অফিসের মালামাল দেখা শোনার জন্য রিপন অফিসের সকল কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও সেখানে রাত্রিযাপন করতেন।
বুধবার রাতে এনজিও কর্মী আসাদুজ্জামান রিপন স্থানীয় একটি বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে অফিসে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় ডাকাডাকির এক পর্যায়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এনজিও কর্মীর মরদেহ ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) শরণখোলা শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা বলেন, অফিসের মালামাল দেখাশুনার জন্য রিপন রাতে অফিসে থাকতেন।
এ ব্যাপারে শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, এনজিও কর্মী রিপন কিভাবে মারা গেছে তা স্পষ্ট নয়। নিহত রিপনের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শওকত আলী বাবু/এআরএ/পিআর