শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হবে ২৮ ডিসেম্বর। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

তিনি জানান, ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের মধ্যে এ টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বছরে এক কোটি ২০ লাখ যাত্রীর সেবা প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রায় ৩০ লাখ বর্গফুট জায়গায় তৃতীয় টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে।

বেবিচকের চলমান প্রকল্পসমূহের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে এ মতবিনিময় সভায় বেবিচকের সদস্য (প্রশাসন) মো. হাফিজুর রহমান, সদস্য (অর্থ) মো. মিজানুর রহমান, সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মো. খালিদ হোসেন, সদস্য (এটিএম) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান, সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন) গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. জিয়াউল কবীর, প্রধান প্রকৌশলী সুধেন্দু বিকাশ গোস্বামী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসানসহ বেবিচকের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেবিচকের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এসব কাজে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। এমনকি ঠিকাদার কোম্পানিকেও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।'

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী তৃতীয় টার্মিনালে বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে ১২টি। প্রতি চারটি ব্রিজের জন্য একটি লিফট থাকবে। কনভয় বেল্ট থাকবে ১২টি। চেক-ইন কাউন্টার হবে ২০টি। প্রতিটি কাউন্টারে সিকিউরিটি স্ক্যানার থাকবে। প্রতি ঘণ্টায় দুই হাজার যাত্রীর লাগেজ স্ক্যান করার সক্ষমতা থাকবে প্রত্যেক কাউন্টারে। এ ছাড়া ১২০০ গাড়ির পার্কিং সুবিধা থাকবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'থার্ড টার্মিনালে দুবাইসহ বিশ্বের উন্নত বিমানবন্দরে যে মানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে তা ব্যবহার করা হবে। বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কর্মকর্তাদের কাছে পণ্য ক্রয়ের জন্য ধরনা দিয়েছেন, প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি নিজে এটি তদারকি করেছি। কিন্তু আমরা সেরাটাই দেব।'

আরএম/এফআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।