হকারদের মিছিলে পুলিশের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ না করার আবেদন নিয়ে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের কর্মীরা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে কদম ফোয়ারার দিকে গেলে তাদেরকে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধার মুখে সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুলিশের সঙ্গে হকারদের ধাক্কাধাক্কি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পরে এক সমাবেশে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকান্দার হায়াৎ বলেন, ক্যাসিনো-কাণ্ড
সংগঠিত হওয়ার পর পুলিশ-প্রশাসন শুদ্ধি অভিযান শুরু করলে, চাঁদাবাজি ও যানজটের অজুহাতে হকারদেরকে ফুটপাত ছেড়ে দিতে বলা হয়। অনেকদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ প্রশাসন হকারদের আর ফুটপাতে বসতে দিচ্ছে না। এই অবস্থায় হকারি পেশা ও তাদের জীবন ধারণের পথ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। ঢাকা সিটির ৪ লাখ হকার বেকারে পরিণত হয়েছে। এই ৪ লাখ বেকার তাদের পরিবার নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন ফুটপাতে সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এবং আমরা হকার পুনর্বাসনের ৫ বছর মেয়াদী মহাপরিকল্পনার কথা বলেছি। হকারদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে আইডি কার্ড প্রদান করতে হবে- এটাই পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান কাজ। এই কাজের সফলতার ওপর নির্ভর করবে গোটা পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তালিকাভুক্ত হকারদের কাছ থেকে সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতে সরকার টোল বা ট্যাক্স নিয়ে বছর শেষে এর সাথে সমপরিমাণ সরকারি ভর্তুকি যুক্ত করলে প্রতি বছর কয়েক হাজার হকার পুনর্বাসন করতে পারবে এবং ফুটপাত থেকে সব ধরনের চাঁদাবাজি এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।

সমাবেশ থেকে সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাশেম কবির ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করতে যান।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিমউদ্দিন প্রমুখ।

এইউএ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।