২৪ ঘণ্টা পরও গ্রেফতার হয়নি সিজারের হত্যাকারীরা


প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সংস্থা। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কাউকে শনাক্তও করতে পারেনি তারা।

সোমবার গুলশান-২ নম্বর কূটনীতিক এলাকার ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পর ইসলামিক স্টার্ট নামে একটি সংগঠন হত্যার দায় স্বীকার করলেও এবিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। নিহত সিজার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও-বাংলাদেশ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফস প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন।

এঘটনায় মঙ্গলবার সকালে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সিজারের প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রি ডিরেক্টর হেলেন বেন্ডার ভিক। তবে এঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলো।

এদিকে সিজার হত্যার ঘটনায় বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স। কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলামকে। কমিটিকে সহযোগীতা করতে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের বাছাই করা দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি তদন্ত ইউনিট গঠন করা হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হায়দারকে এই টিমের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘটনার পর হত্যাকাণ্ড এলাকার আশপাশের ক্লোজ সার্কিড ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্তকাজ চলছে। এবিষয়ে এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলা সম্ভব নয়।

এদিকে সিজারের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে তার শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি গুলি তার শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে। একটি গুলি শরীরে বিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সিজারের মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ তার প্রতিনিধিকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

## সিজার হত্যাকাণ্ডকে ষড়যন্ত্র ভাবছে সরকার

এআর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।