বরিশালে সেটেলমেন্ট অফিসারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার শাহাজিরা গ্রামের এক ব্যক্তির চার একর ১৬ শতাংশ জমি সাত লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে আরেকজনের নামে লিখে দেয়ার অভিযোগে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও বেঞ্চ সহকারীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ১৩নং ওয়ার্ড খান সড়কের বাসিন্দা আলহাজ্ব আব্দুর রব খান বাদী হয়ে বরিশালের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
দুপুরে আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক মামলাটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশাল কার্যালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাদী আব্দুর রব খানের গ্রামের বাড়ি গৌরনদীর শাহাজিরা গ্রামে। তিনি মামলায় ওই গ্রামে তাদের পৈত্রিক ২৬টি দাগের চার একর ১৬ শতাংশ জমি সাত লাখ টাকার বিনিময়ে অন্যের নামে লিখে দেয়ার অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, গৌরনদীর তৎকালীন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও বর্তমানে ভোলায় কর্মরত অধির চন্দ্র কর্মকার, গৌরনদীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত বেঞ্চ সহকারী ও বর্তমানে বরিশালে সদরে কর্মরত আবুল কালাম এবং শাহাজিরা গ্রামের রহমান খাঁ, মোজাম্মেল হক, শামসুল হক, ফজলুল হক, মেহেদি হাসান, অলি চৌকিদার, চার সহোদর রফিকুল ইসলাম খাঁ, নজরুল ইসলাম খাঁ, কামরুল ইসলাম খাঁ , শফিকুল ইসলাম খাঁ ও তাদের বোন মরিয়ম বিবি।
সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. ফারুক হোসেন মামলার আরজির বরাত দিয়ে জানান, ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাদী ও তার প্রতিবেশিদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ নিয়ে গৌরনদীর সেটেলমেন্ট অফিসে ৩১ ধারায় আপিল করেন।
বাদীর চাহিদানুযায়ী মামলা নিষ্পত্তিতে চেইনম্যান আবুল কালামের মাধ্যমে বাদী ও তার প্রতিপক্ষ সেটেলমেন্ট অফিসার অধীর চন্দ্রের খাস কামরায় দেখা করেন। সেখানে অধীর চন্দ্র উভয়পক্ষের নিকট ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। বাদী ওই উৎকোচের টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে।
তবে পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে সাত লাখ টাকা উৎকোচ নিয়ে অধির চন্দ্র ওই সম্পত্তি প্রতিপক্ষের ১০ জনকে অংশিদার করে লিখে দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করেন। এমনকি যেসব দাগের জমি নিয়ে বিরোধ নেই সেই জমিও তিনি প্রতিপক্ষের নামে লিখে দেন।
এর প্রতিকার পেতে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়।
সাইফ আমীন/এআরএ/পিআর