যেসব কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন ঢামেকে সুযোগপ্রাপ্তরা


প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সিরাজগঞ্জের মেয়ে পুস্পিতা রানী মন্ডল। বগুড়ার একটি কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ নিয়ে পাস করেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত মেডিকেল কলেজের ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮৭.৭৫ নম্বর পেয়ে মেধাতালিকায় ৬৫তম নির্বাচিত হন। স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দেশসেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার। মঙ্গলবার সকালে ঢামেকে ভর্তি হতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন পুস্পিতা। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে সেখানেই কথা হয়। আলাপকালে পুস্পিতা হাসিমুখে বলেন, খুব ভালো লাগছে স্বপ্নের মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করবো।
 
শুধু পুস্পিতা রানীই নয়, ছোটবেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এমন লাখ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে দেশসেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজই (ঢামেক) প্রথম পছন্দ। সবাই স্বপ্ন দেখেন বটে কিন্তু স্বপ্ন শুধুমাত্র বাস্তবায়ন হয় দেশসেরা ২শ’-এরও কম শিক্ষার্থীর।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চলতি বছরের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্য ছিল ৮২ হাজারেরও বেশি। তাদের মধ্যে সেরা ১৯৭ জনের কপাল খুলেছে ঢামেকে ভর্তি হওয়ার। দেশসেরা এই ১৯৭ জন শিক্ষার্থী কে কোন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন তা অনুসন্ধানে চালিয়ে জানতে চেষ্টা করেছেন জাগো নিউজের এ প্রতিবেদক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঢামেক মেডিকেলের মেধা তালিকায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন তারা। বিভিন্ন কেন্দ্রের মধ্যে ঢামেকে ২৫ জন, স্যার সলিমুল্লাহ ২০ জন, শহীদ সোহরওয়ার্দী ৪৪ জন, ময়মনসিংহ ১৫ জন, চট্টগ্রাম ৯ জন, রাজশাহী ৬ জন, সিলেট ৩ জন, বরিশাল ২ জন, রংপুর ৮ জন, কুমিল্লা ৫ জন, খুলনা ২০ জন, বগুড়া ১২ জন, দিনাজপুর ২ জন, পাবনা ৪ জন, নোয়াখালী ১ জন, যশোর ২ জন, সাতক্ষীরা ১ জন, কিশোরগঞ্জ ১ ও ঢাকা ডেন্টাল কলেজ কেন্দ্র থেকে ১৭ জন পরীক্ষার্থী ঢামেক মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। ঢামেকে প্রথম স্থান অধিকারী শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৯৪ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুনির্দিষ্টভাবে কোন কেন্দ্র থেকে কতজন সুযোগ পেয়েছেন তা বলতে না চাইলেও তিনি বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ঢামেকে সুযোগ পেয়েছেন।
 
চলতি বছর ৮২ সহস্রাধিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে সরকারি ২৯টি মেডিকেল কলেজ, ১টি ডেন্টাল কলেজ ও  ৮টি মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিটের জন্য মোট ৩ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। তাদের মধ্যে সাধারণ আসনে ৩ হাজার ৭৯টি, মুক্তিযোদ্ধা পুত্র-কন্যা ও পুত্র কন্যাদের পুত্র কন্যাদের জন্য ৬৩টি ও পশ্চাদপদ জনগোষ্টির জন্য ২০টি সংরক্ষিতসহ মোট ৩ হাজার ১৬২টি আসন। এছাড়া বিডিএস কোর্সে সাধারণ আসন ৫১৭টি, মুক্তিযোদ্ধা পুত্র-কন্যা ও পুত্র কন্যাদের পুত্র-কন্যাদের জন্য ১০টি ও পশ্চাদপদ জনগোষ্টির জন্য ৫টি সংরক্ষিতসহ মোট ৫৩২টি আসন রয়েছে।

এছাড়া এবারই প্রথম মাইগ্রেশনের মাধ্যমে মুগদা মেডিকেল কলেজে ৫০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হবে। মোট ৬১৯ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ৩টি মেডিকেল ও ১টি ডেন্টালকলেজসহ সারাদেশের মোট ২৩টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে চলতি বছর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এমন অভিযোগে দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা ও রংপুরে দুজন চিকিৎসকসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু র‌্যাব ও স্বাস্থ্য অধিদফতর দুপক্ষের কেউই স্পষ্ট করে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কথা এখনও স্বীকার করেননি।

এমইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।