জেলায় জেলায় হবে মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ একাডেমি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯

অফিসসহ মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএ। পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এ অফিস কাম-মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন জরুরি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

বিআরটিএ ইতোমধ্যে প্রতি জেলার ডিসি বরাবর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠিও দিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা ও বার্ষিক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চলতি বছরের গত ১৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদের উপস্থিতিতে এ ব্যাপারে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোটরযান চালকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং এ উদ্দেশ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে বলা হয় বিআরটিএ-কে।

এরপর বিআরটিএ প্রতি জেলায় অফিস কাম-মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের জন্য ডিপিপি প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য চিঠি দেয় সংস্থাটি।

যদিও আরও আগে পেশাজীবী গাড়িচালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ১৭টি বৃহত্তর জেলায় অফিস কাম-মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর পত্র প্রেরণ করে বিআরটিএ।

বিআরটিএ সদরদফতরের অপারেশন শাখা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি জেলায় ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ময়মনসিংহে অধিগৃহীত ভূমিতে স্থাপনা তৈরির জন্য পিডব্লিউডি কর্তৃক ডিপিপি প্রস্তুতও করা হয়েছে।

এছাড়া সিলেট, বগুড়া, যশোর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়ায় ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন চেয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে পত্র দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ হতে জানানো হয়েছে যে, অধিগ্রহণকৃত জমির ডিপিপি প্রণয়নের পরে ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন প্রদান করা হবে।

এ ব্যাপারে বিআরটিএ মুখপাত্র ও পরিচালক (রোড সেফটি) শেখ মো. মাহবুব-ই-রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা নিরাপদ, প্রযুক্তিনির্ভর, সুশৃঙ্খল ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা, সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, কারিগরি ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষ চালক সৃষ্টি এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকরণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে বিআরটিএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মোটরযান চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযানের রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর লাইসেন্স, রুট পারমিট, মোটরযান প্রস্তুতকারী সংযোনকারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযান বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান, মোটরযান ওয়ার্কশপ, ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল, মোটরযান দূষণ পরীক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির রেজিস্ট্রেশন প্রদান করে থাকে।

তিনি বলেন, বিআরটিএ’র সদর কার্যালয় কর্তৃক ঢাকায় চলাচলরত বাস বা মিনিবাস চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচদিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অব্যাহত রয়েছে। এ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনুধাবন করে এবং সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের অনুরোধক্রমে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালের মধ্যে তিন হাজার মিনিবাসচালককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ প্রশিক্ষণ ব্যয়ের প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ব্যবস্থাও গৃহীত হয়েছে বলে জানান তিনি।

জেইউ/এমএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।