ডিসেম্বরে স্মার্টকার্ড পাচ্ছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৯ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড দেয়ার প্রক্রিয়ার দিকে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে তাদের ভোটার করার পর এবার স্মার্টকার্ড দেয়া শুরু হবে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০ ডিসেম্বর।

জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর অনলাইনে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম উদ্বোধন করে ইসি। এরপর থেকে প্রতিদিন ৫০টির মতো আবেদন জমা পড়ে। আবেদন পাওয়ার পর আবেদনকারী প্রবাসীর দেশের নিজের উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ইতিবাচক তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সংশ্লিষ্টদের স্মার্টকার্ড ছাপিয়ে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়া হবে।

ইসির একটি টেকনিক্যাল টিম মালয়েশিয়া যাবে। তারা প্রবাসী নাগরিকদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের প্রতিচ্ছবি নিয়ে স্মার্টকার্ড সরবরাহ করবেন। তবে এটি হবে পরীক্ষামূলক সরবরাহ কার্যক্রম। পরে এটি ধারাবাহিকভাবে চলবে। মালয়েশিয়ার কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের পর দুবাইতেও স্মার্টকার্ড সরবরাহ করবে ইসি। দুবাইয়ে অনলাইনে ভোটার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় গত ১৮ নভেম্বর (সোমবার)।

বর্তমানে মালয়েশিয়া ও দুবাই প্রবাসীরা ওয়েবসাইটে গিয়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন করতে পারছেন। আবেদনের পর তা সঠিক কি না, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই-বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট ও চোখের মণির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবেন।

এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সর্বশেষ দেশে যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। পরে তার আবেদন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর ১০ আঙুলের ছাপ, আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে। এর আগের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।

ইসি জানিয়েছে, প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে। সেগুলো হলো- পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনো আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।

এইচএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।