ভাই হারানোর যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হলো : এসি রবিউলের ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

সাতজনের ফাঁসিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হলি আর্টিসান হামলায় নিহত এসি রবিউলের ভাই শামসুজ্জামান শামস। রায় ঘোষণার পর ঢাকা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে সন্তোষ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান শামস বলেন, ‘২০১৬ সালে আমাদের যে যন্ত্রণা ছিল, আজও সেই যন্ত্রণা আছে। সেটা ভাই হারানোর যন্ত্রণা, তা থাকবেই। পার্থক্য শুধু এটাই, আজকের রায়ে যন্ত্রণা লাঘবের। ভাইকে হারানোর পেছনে যারা জড়িত, তাদের যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে, এটাই হচ্ছে আমাদের প্রাপ্তি। আমাদের যে ক্ষতি হয়েছিল, সেই ক্ষত লাঘবে এটা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’

‘এ রায়ের মাধ্যমে আদালত প্রমাণ করলেন যে, বহির্বিশ্বের কাছে আমাদের সুনাম যেটা ছিল, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এখানে জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাসবাদের কোনো ঠাঁই নেই’- যোগ করেন শামস।

তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালে যে ঘটনা শুরু হয়েছিল, এরপর সিলেট, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছে। যেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন যে, জঙ্গিরা তাদের বিচরণক্ষেত্র বাড়াতে না পারে। সেদিক থেকে আমি মনে করি, এই যে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, তা চলতে থাকলে আমরা আবার সেই শান্তির দেশে পরিণত হবো।’

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র‌্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় পরে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।

গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা জন্য আজ ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেন।

মামলা দায়ের করার পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই বছরের ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

পিডি/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।