হামলার জন্য যে কারণে বেছে নেয়া হয় হলি আর্টিসান
রাজধানী ঢাকার যে কোনো রেস্তোরাঁ বা স্থাপনায় হামলা করে নিজেদের শক্তির জানান দিতে চেয়েছিল নব্য জেএমবির জঙ্গিরা। আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ ছিল তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। তবে কেন হামলা হলো হলি আর্টিসানে? এর নেপথ্যের কারণ-ই বা কী ছিল?
এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘হলি আর্টিসান তাদের প্রথম টার্গেট ছিল না। জঙ্গিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা ঢাকার এমন একটি স্থানে হামলা চালাবে যেখানে বেশি সংখ্যক বিদেশি নাগরিক থাকবে। এরপর তারা বেশ কয়েকটি স্থানে যায় এবং শেষ পর্যন্ত আর্টিসানকে বেছে নেয়।’
‘আর্টিসানে ১ জুলাই হামলা হলেও এর পরিকল্পনা হয়েছিল পাঁচ-ছয় মাস আগে। হলি আর্টিসানের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা তেমন জোরদার ছিল না। এছাড়া আর্টিসানে হামলা করে পালানো সুবিধাজনক হবে বলে মনে করেছিল। এ কারণেই তারা হামলার দু-তিন দিন আগে আটিসানকে টার্গেট করে।’
হামলার জন্য ১ জুলাইকে বেছে নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘হামলার দিন ছিল ২৭ রমজান। জঙ্গিরা মনে করেছিল, পবিত্র ওই দিনে এমন কাজ করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই দিন রাত পৌনে ৯টার দিকে সশস্ত্র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করে ২২ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে যার মধ্যে ৯ জন ইতালিয়ান, সাত জন জাপানি, এক জন ভারতীয় নাগরিক। জঙ্গিদের দমনে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। জঙ্গিরা বেকারিতে যাওয়া অতিথিদের রাতভর জিম্মি করে রাখে। পরদিন সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় সেনাবাহিনী কমান্ডো অভিযান- অপারেশন থান্ডারবোল্ট পরিচালনা করে তাদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি করে। অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও একজন বেকারি শেফ নিহত হন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত হন আরও একজন বেকারিকর্মী।
হলি আর্টিসান মামলার রায়ের সব খবর পড়ুন এক ক্লিকে
জেএইচ/জেআইএম