সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দেয়ার কর্মপরিকল্পনা হয়েছে
সরকারের গৃহীত নানামুখি উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং-এর নেতৃত্বের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) মিলগুলো আধুনিকায়ন করে বহুমুখী পাটপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা হবে।’
তিনি প্রতিনিধি দলটিকে জানান, বাংলাদেশে এই প্রথম পাট থেকে সোনালি ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। সরকারের গৃহীত নানামুখি উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এই পাটের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আরও বেশি সম্মান পাবে।
‘সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে। এই সোনালি ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। এটি খুব সহজে পচে যায়। ফলে পরিবেশ দূষণের বিষয়টি এতে নেই। ফলে ঐতিহ্যবাহী সোনালী আঁশ বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে,’ বলেন মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত গোলাম দস্তগীর।
পাটমন্ত্রী আরও বলেন, বাণিজ্যিকভাবে পাট থেকে সোনালী ব্যাগ উৎপাদনে সরকার কাজ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক পলিথিনের তুলনায় এই ব্যাগের দাম কিছুটা বেশি হবে। তবে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামের সমন্বয় হয়ে যাবে। পাট থেকে তৈরি এই ব্যাগের নাম হবে ‘সোনালী ব্যাগ’। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজের পছন্দের দেয়া নাম।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, চীন আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। দুই দেশের নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এসম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। সেজন্য তারা বস্ত্র ও পাটখাতে বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটাতে চায়।
পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত ২৮৫ রকমের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করেছেন বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিজেএমসির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এনএফ/জেআইএম