সৌদি থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে এবার হোসনার ভিডিও বার্তা!
সৌদি আরব থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে এবার ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন হবিগঞ্জের হোসনা। স্ত্রীকে নিরাপদে দেশে ফেরত আনতে সরকারের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তার স্বামী শফিউল্লাহ।
হোসনার পারিবারিক সূত্র জানায়, মাত্র ২০ দিন আগে দালাল শাহীন মিয়া ও প্রস্তাবিত রিক্রুটিং এজেন্সি আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশনের প্রলোভনে পড়ে এজেন্সি আল-সারা ওভারসিস (আরএল-৭৫২) সৌদি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হবিগঞ্জের মেয়ে হোসনা। তবে গত ৬ নভেম্বর সৌদি যাওয়ার পর থেকে সেখানে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তিনি।
হোসনা ভিডিও বার্তায় তার ওপর চালানো নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে জীবন বাঁচার আকুতি জানান স্বামী শফিউল্লাহ’র কাছে। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে শফিউল্লাহ ছুটে যান দালাল ও আরব ওয়ার্ল্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসে, তারা হোসনাকে দেশে আনতে দুই লাখ টাকা দাবি করেন পরিবারের কাছে।
কোনো উপায় না পেয়ে ২৪ নভেম্বর ব্র্যাকের সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন হোসনার স্বামী শফিউল্লাহ। এরপর নিরাপদে হোসনাকে দেশে ফেরত আনতে পরিবারকে সার্বিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয় ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
ভিডিও বার্তায় হোসনা বলেন, ‘ভালো কাজের কথা বলে দালাল আমারে সৌদি পাঠাইছে। আমি এসে দেখি, ওরা আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে না। আমার ওপর অত্যাচার করে।’
তিনি বলেন, আমি আসছি ১০-১২ দিন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি বলেছি আর থাকব না। এটা শুনে ওরা আরও অত্যাচার করছে। অফিসে (রিক্রুটিং এজেন্সি) ফোন দিয়েছি, অফিসও আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে।
হোসনা আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘তোমরা যেভাবে পারো আমারে বাঁচাও। এরা আমাদের বাংলাদেশেও পাঠাতে চায় না। আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছি।’
তিনি বলেন, এরা আমার ফোনও চালু করতে দেয় না। স্যার, ম্যাডাম সবাই আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমানে হোসনাকে সৌদি আরবের রিক্রুটিং এজেন্সি (মকতব) অফিসে নেয়া হয়েছে। তবে হোসনার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দিচ্ছে দালাল ও এজেন্সি অফিস থেকে। আমরা সুমি, হোসনাদের এমন নিপীড়ন বন্ধ চাই।
জেপি/জেএইচ/জেআইএম