পেঁয়াজের বর্তমান মজুত জানার চেষ্টা করছে শুল্ক গোয়েন্দা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৫ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এসব পেঁয়াজ আমদানিকারক ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর চেষ্টা করছে এসব আমদানিকারকদের কাছে বর্তমানে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত রয়েছে তা জানতে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। যারা আমদানি করেছেন, তারা আমদানির পরে কোথায় কোথায় বিক্রি করেছেন। কী মূল্যে বিক্রি করেছেন। এখন পর্যন্ত তাদের হাতে কত টন পেঁয়াজ মজুত আছে, সেটাই আমরা জানার চেষ্টা করছি।’

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের নিজ কার্যালয়ে মহাপরিচালক সহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা ১৩ জনকে ডেকেছিলাম। তাদের মধ্যে ১০ জন এসেছেন। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ডেকেছি এমন চারজন আজকে (সোমবার) চলে এসেছেন। আজ মোট ১৪ জনের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করছি। আজ ও আগামীকাল তাদের বক্তব্য নেয়ার পর আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব।’

সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি পেঁয়াজের বাজার সহনশীল হয়ে যাবে। বিমানের কার্গোতে পেঁয়াজ আসছে, কিছু কিছু প্যাসেঞ্জার বিমানেও পেঁয়াজ আসছে। আমরা যেটা দেখছি, বাজারে এখনও যথেষ্ট পেঁয়াজ আছে। কোনো ঘাটতি নাই। তবে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বা সহনশীলতার বাইরে চলে গেছে।’

চলতি বছরের আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টনের মতো পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বলে জানান সহিদুল ইসলাম।

এদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী দুইদিন আগে বলেছিলেন, ‘এই সময় প্রতিমাসে এক লাখ টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়।’ তাহলে গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ আমদানি ঘাটতি কত? -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজারে গেলে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ওই অর্থে কোনো ক্রাইসিস নাই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখার চেষ্টা করছি, কারা কারা পেঁয়াজ আমদানি করে এখনও বিক্রি করেননি। তারা বিক্রি করলে সঙ্কটটা কমে যাবে। সেই উদ্যোগটাই মূলত আমরা নিচ্ছি। আসলে বেশি দামে বিক্রি করছে কি না, কত দিন ধরে রেখেছে -এ জিনিসগুলো আমরা বের করার চেষ্টা করছি।’

মজুতদারী ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আমদানিকারকদের ডাকা হয়েছে- এ বিষয়ে সহিদুল ইসলামের বক্তব্য, ‘বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তো আসতেই পারে বা আসে। একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার অবকাশ থাকে না। আমরা চলমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলেছি, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

শুল্ক গোয়েন্দার কাজ শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে কি না -সেটা দেখা। কিন্তু আপনারা আমদানি পরবর্তী সময়ের কাজ করছেন -এটা করতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনায় আমরা এ কাজ করছি। আমরা সব বিভাগ একসঙ্গে কাজ করছি। যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম স্বাভাবিক হয়ে যায়।’

এভাবে ডাকার ফলে আমদানিকারকদের মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে ভীতির সঞ্চার হতে পারে কি না -এর জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের জনবল কম। তাই তাদেরকে ঢাকায় ডেকে এনেছি। তাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে আলোচনা করছি। আমদানিকারকদের মাঝে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

পিডি/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।