নর্দান মেডিকেল কলেজে ভর্তির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার


প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজধানীর ধানমন্ডির বেসরকারি নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে নতুন  শিক্ষার্থী ভর্তির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল/আইএইচটি/ম্যাটস্ প্রতিষ্ঠা/আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, নবায়ন ও কোর্স অনুমোদন সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত  হয়।
 
নর্দান কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর শর্তসমূহ পালন করায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর স্থগিতাদেশটি  প্রত্যাহার করা হয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে বৈধভাবে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে পারবে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে নর্দান মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মনে খুশির জোয়ার বইছে। কলেজটিতে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থী ও বিশেষত এমবিবিএস পাস করার পরও এতদিন যারা বিএমডিসির বৈধ রেজিস্ট্রেশন পাননি সে সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির একাধিক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডির এ বেসরকারি মেডিকেল কলেজটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ কিছুই ছিল না। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৎকালীন পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. শিফায়েতউল্ল্যাহর নির্দেশে সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা হতবাক হন।
 
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত না হওয়ায় ২০০৯-২০১০ সালে নর্দান মেডিকেল কলেজ পরিচালনার ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছর যাবৎ কলেজ কর্তৃপক্ষ আদালতে রিট করে প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছিল।  কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকার কারণে অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ  ছিলেন। কারণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন পেতেন না।

জানা গেছে, গত কয়েকমাস আগে একটি  ব্যাচের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছে। তারা এখনও রেজিস্ট্রেশন পায়নি। ফলে তারা কোথাও বৈধভাবে প্রাকটিস করতে পারছেন না।

সোমবার রাতে বিএমডিসির রেজিস্টার ডা. জেড এইচ বসুনিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনকৃত আসন সংখ্যার বিপরীতে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে তার হিসাব নিকাশ চাওয়া হয়েছে। সঠিক হিসাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে পাসকৃতসহ সকল শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

এমইউ/এসকেডি/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।