চট্টগ্রামে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণ হবে ২৪৯৬ ফ্ল্যাট
চট্টগ্রামের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য প্রথম ধাপে ২৪৯৬ ফ্ল্যাট নির্মাণে দুটি পৃথক প্রস্তাবসহ সাতটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম। তিনি বলেন, গণর্পূত অধদিফতর বাস্তবায়নাধীন চট্টগ্রামের ৩৬টি পরত্যিক্ত বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ র্শীষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে এতে ১২৫০, ১০০০, ৮০০ স্কয়ার ফুটের মোট ১২৪৮ ফ্ল্যাট হবে। এতে ব্যয় হবে ১০১ কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মেসার্স নূরানী কন্সট্রাকশন লিমিটেড।
তিনি বলেন, একই প্রকল্পের আওতায় অপর একটি প্রস্তাব চট্টগ্রামে ৩৬ পরিত্যক্ত বাড়িতে ১২ তলা আবাসকি ভবন নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে এতে ১২৫০, ১০০০, ৮০০ স্কয়ার ফুটের মোট ১২৪৮ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের একটি প্যাকজেরে আওতায় পাঁচটি দরপত্র বিক্রি হলেও একটি দর প্রস্তাব পাওয়া যায়। টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ একমাত্র দরদাতা প্রতষ্ঠান মেসার্স জামাল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড। কমিটি প্রস্তাবটির অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
বৈঠকে অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবগুলো হলো, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) আওতাধীন বিতরণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত (সিলেট, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ) চার শহরে আন্ডারগ্রাউন্ড কেবল ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম স্থাপন কাজের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রাক্কলন ও ডিপিআর প্রস্তুতকরণের জন্য পরামর্শক নিয়োগ। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। অস্ট্রেলিয়ার নলেজ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি পরিমর্শক প্রতিষ্ঠান থেকে এ বিষয়ে পরামর্শক সেবা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ১৩ হাজার ৭২৪ কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহের জন্য কমিউনিটি বেইজড হেলথ (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্ল্যানে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জিওবি (উন্নয়ন) খাতের আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ২৭ প্রকার ওষুধ ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ৮৬ হাজার ৫০০ কার্টুন ওষুধ কেনা হবে। প্রতি কার্টুনের দাম ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এ জন্য ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
এছাড়া পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক পর্যটন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় হবে দুই কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ভারতের আইপিই গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ খাতে পরামর্শক সেবা দেবে।
বৈঠকে দুটি প্রস্তাব টেবিলে উপস্থাপন করা হয়। একটি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুই লটে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া আমাদানির প্রস্তাব। এতে প্রতিটন ইউরিয়ার দাম ২৪৪ দশমিক ২৫ ডলার হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ব্যয় হবে ৫১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সারের একটি প্রস্তাবের বিষয়ে বৈঠকে অবহিতকরণ করা হয়েছে।
এমইউএইচ/এএইচ/এমকেএইচ