বেশি জরিমানায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার আশা সেতুমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৯

‘নিরাপদ সড়ক আইন, ২০১৮’ কার্যকরের মাধ্যমে বেশি জরিমানায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর কুড়িলে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘সড়ক নিরাপত্তা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন সড়ক আইনে বেশি জরিমানা মানে বেশি অর্থ নেয়া নয়। বেশি জরিমানা দিলে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সড়কে শৃঙ্খলার জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। কিছু গাড়ি আছে, তারা সিটিং (সার্ভিস) লিখে রাখে। আসলে তারা সিটিং না, চিটিং সার্ভিস।’

তিনি বলেন, ‘নতুন আইন বাস্তবায়ন করা হবে। কিছুদিন শিথিল করেছিলাম সচেতনতা বাড়াতে। দুসপ্তাহ সময় দিয়েছিলাম, সেটা শেষ হয়েছে। আজ থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হবে।’

মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়নের কমতি নেই। কিন্তু, আমাদের সংকট হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা। এই শৃঙ্খলা ফেরাতে সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যাচ্ছি। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, কোথাও দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেলকে দায়ী করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সড়কে বিশৃঙ্খলার জন্য মোটরসাইকেল দায়ী। তারা নিজেদের পথের রাজা মনে করে। এটা একটা উপদ্রব। আমরা যে পারি না, তা না। এখন ঢাকা শহরে কোথাও হেলমেট ছাড়া চালক-যাত্রী পাবেন না। আর যারা বাইকে হেলমেট পরে না, তারা হলো রাজনৈতিক কর্মী। এখন আগের চেয়ে উল্টো পথে চলার অভ্যাস কমেছে। ভিআইপি বিড়ম্বনাও অনেক কমেছে।’

রোড সেক্টর খুব চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, তারা সরে গেছে, তাতে কী। বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হবে। পদ্মাসেতু এখন দাঁড়িয়ে গেছে। আমি ১৭৯ বার সেই সেতু পরিদর্শন করেছি। ২০২১ সালেই পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে।’

এইউএ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।