বুলবুলে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল খেপুপাড়ায়
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৭ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০১৯
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অতিক্রম করার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় এবং সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় মোংলায়। খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার এবং মোংলায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার পর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে মোংলায় ১৫৯ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ বাতাস হয়েছে খেপুপাড়ায়, সেখানে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ১১৭ কিলোমিটার। আজ সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করে। এটা স্বল্পস্থায়ী ছিল।’
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৮টার পর সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘খুলনার কয়রাতে ৯৩ কিলোমিটার বাতাস রেকর্ড করেছি। কয়রা থেকে আরও সামনে যদি আমাদের পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থাকত তাহলে হয়তো ১২০ কিলোমিটার গতি রেকর্ড করতে পারতাম। সব জেলা, উপজেলায় আমাদের পর্যবেক্ষণকেন্দ্র নেই, যার জন্য ভালো রেকর্ড আমরা দিতে পারি না। এটা আমাদের সীমাবদ্ধতা।’
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বুলবুল অতিক্রমকালে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪১ কিলোমিটার ও বৃষ্টিপাত ৯২ মিলিমিটার; মোংলায় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৪৩ কিলোমিটার ও বৃষ্টি ১৫৯ মিলিমিটার; সাতক্ষীরায় বাতাসের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮১ কিলোমিটার ও বৃষ্টি ১৪৪ মিলিমিটার, যশোরে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার ও বৃষ্টি ৬৫ মিলিমিটার; চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টি ২০ মিলিমিটার; কুমারখালিতে বৃষ্টি ১৪ মিলিমিটার; কয়রায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯৩ কিলোমিটার; বরিশালে বাতাসের গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার ও বৃষ্টি ৭৭ মিলিমিটার; পটুয়াখালীতে ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি; খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ৫৬ কিলোমিটার ও বৃষ্টি ১৩১ মিলিমিটার এবং ভোলায় বৃষ্টি হয়েছে ঘণ্টায় ৫৬ মিলিমিটার।
আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রংপুর অঞ্চল ছাড়া সারাদেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের মধ্যভাগে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পিডি/জেডএ/এমএস