গ্রামের স্বজনদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজধানীর লাখো পরিবার
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৯
‘দুশ্চিন্তায় সারারাত ঘুমাতে পারিনি। বাড়িতে একতলা পাকা ভবন থাকলেও বাবা-মাসহ পরিবারের সকলে রাতেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। শুনেছি ঘূর্ণিঝড় সিডর এর চাইতেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল প্রবল বেগে আঘাত হানতে পারে। কী যে হয় তা নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। দোয়া-দরুদ পড়ছি, যেন সবাই সুস্থ থাকে।’
রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম আজ (শনিবার) সকালে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঠিক এভাবেই বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় অবস্থানরত বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন।
তিনি কিছুক্ষণ পরপর টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখছেন এবং মোবাইল ফোনে বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্র অবস্থানরত পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে খবরাখবর নিচ্ছেন বলে জানান।
শুধু মনোয়ারা বেগম একাই নন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে যান্ত্রিক নগর ঢাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন জেলার বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা তাদের স্বজনদের নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন সময় কাটাচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুসারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল যে ১৫টি জেলায় আঘাত হানতে পারে সেগুলো হলো : ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কক্সবাজার। এসব জেলায় মোট ৪ হাজার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
উপকূলীয় জেলা ভোলা বরগুনা পটুয়াখালী বরিশাল পিরোজপুর ঝালকাঠি বাগেরহাট খুলনা সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো এই সংকেতের আওতায় থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, চাঁদপুরসহ তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আজ দুপুর থেকে দমকা হাওয়া বইতে শুরু হতে পারে। বাংলাদেশ অতিক্রমের সময় ঘড়ের বেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে। সেইসঙ্গে দমকা হাওয়া ও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এমইউ/এসএইচএস/এমএস