মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত


প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনারের বাসভবনে ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার হাই কমিশনার শহীদুল ইসলামের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এ হাউসডেতে প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রবাসীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শহীদুল ইসলাম।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেল ৫টায় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, বিদেশি কূটনীতিক ও প্রবাসীরা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে জড়ো হন। প্রবাসীদের উপস্থিতিতে মিলন মেলায় পরিণত হয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবন। এ সময় নিজ হাতেই অতিথিদের আপ্যায়ন করেন হাই কমিশনার। মিশনের কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শহীদুল ইসলাম সবার খোঁজখবর নেন।

হাই কমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের উপস্থিতিতে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। প্রবাসীদের নিয়েই আমার কাজ। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। সারা বিশ্বে পরিশ্রমী জাতি হিসেবে বাঙালির বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। 

হাই কমিশনার বলেন, শ্রমিকরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখার দায়িত্ব যেমন সরকারের, তেমনি সবার ওপর কিছু না কিছু দায়িত্ব বর্তায়। বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। আর অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় এ দেশের আইন কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার ব্যাপারে আলাদা অবস্থান তৈরি করেছে। এটি এ দেশের কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সরকার সবাই বিশ্বাস করে।

Malaishea

তিনি বলেন, চূড়ান্ত আলোচনার পর পরই শুরু হবে লোক নিয়োগ প্রক্রিয়া। অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা দেওয়া প্রসঙ্গে শহীদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগেও দুই লাখ ৯৭ হাজার লোককে তারা বৈধতা দিয়েছে। যেটি ছিলো সর্বোচ্চ সংখ্যক বাংলাদেশির বৈধতা পাওয়ার ঘটনা। বৈধ করার পরও যদি বিভিন্ন পন্থায় কেউ অবৈধ পথে কিংবা সমুদ্র পথে এখানে এসে থাকেন তাহলে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

সুদূর প্রবাসে  বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তৈরি করতে হলে দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান হাই কমিশনার।

Malaishea

মালয়েশিয়া কমিউনিটি প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি আহমাদুল কবির ও যুগ্ম আহবায়ক বশির আহমেদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, লেখার মাধ্যমে জাতি অনেক কিছু জানতে পারে। আপনাদের সহযোগিতা দূতাবাসও কামনা করে। কারন আপনারা জাতির বিবেক।  

দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এস কে শাহীন বলেন, ঈদ মানে আনন্দ। প্রবাসীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করতে এ উদ্যোগটি মালয়েশিয়ায় প্রথম। প্রবাসী সবাইকে এক সাথে পেয়ে  অনেক ভালো লাগছে। দূতাবাস সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি এমআরপি ডিজিটাল পাসপোর্ট  দ্রুত সম্পন্ন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।