মেট্রোরেল : অযথা রাস্তা বন্ধ না করার নির্দেশ মন্ত্রিসভা কমিটির
রাজধানীবাসীর ভোগান্তি এড়াতে মেট্রোরেলের কাজের সময় অযথা বেড়া দিয়ে সড়ক বন্ধ না করার নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কমিটির সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে ঢাকা শহরে মানুষের চরম একটা দুর্ভোগ ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে। মেট্রোরেল ও নাগরিক সুবিধা দেয়ার জন্য রাস্তাঘাট খোঁড়া হচ্ছে। সেটা যাতে মানুষের সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায় সেজন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যেখানে কাজ শেষ হবে সে জায়গা যাতে খালি করে দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘যতদিন কাজ শুরু না হবে ততদিন যেন সড়ক বন্ধ করে রাখা না হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, এক দেড় মাস আগে থেকেই ওনারা বেড়া দিয়ে রেখেছেন, কিন্তু কাজটি শুরু হয়নি। শুরু হওয়ার সময়ই যেন করে অযথা যেন রাস্তা বন্ধ না করা হয়।’
বাড়ির মালিকদের কাছে ভাড়াটিয়াদের সঠিক ঠিকানা না থাকায় অনেকে অপরাধ করে পার পেয়ে যায় জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যাতে এটা করতে না পারে, প্রত্যেক বাড়ির মালিক যেন ভোটার আইডি কার্ড দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ভাড়া দেন, সে ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিট পুলিশকে বলা হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকেও এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘এই মেয়াদে সরকার গঠনের পর অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর। আমার মনে হয় আগের চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
কমিটির সভাপতি বলেন, ‘অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে অতীতে বিদেশ গেছে। আগের মিটিংগুলোয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাতে পাসপোর্ট না পায়। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে আমরা এ কাজটি করতে পেরেছি। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়ার কোনো অবস্থা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সারাদেশে মাদকবিরোধী, যৌতুকবিরোধী ও নারী নির্যাতনবিরোধী বড় সমাবেশ হয়েছে, যাতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা যায়।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এএইচ/পিআর