বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেয়েছেন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ জন
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬ জন বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, আর্থিক অসচ্ছলতা, সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রার্থীকে অসমর্থ জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার নিশ্চিতকল্পে তাদেরকে আইনগত সহায়তা প্রদানের উদ্দেশে সরকার ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০, প্রণয়ন করে। এ আইনের আওতায় সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এবং দরিদ্র অসহায় মানুষের আইনের আশ্রয় লাভ ও আইনি কাঠামোর প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার উদ্দেশে প্রত্যেক জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আইনি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস। এছাড়া উপজেলা পর্যায়েও এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, চৌকি আদালত গঠিত হয়েছে বিশেষ কমিটি। সরকার জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার তত্ত্বাবধানে এসব কমিটির অফিসের মাধ্যমে দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত ও বিচারপতি অসমর্থ প্রান্তিক পর্যায়ের বিচারপ্রার্থী ও শ্রমজীবী জনগণকে সরকারি খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান করছে।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। চলতি সংসদের এমপি মঈনউদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব আনার পর তাকে নিয়ে আলোচনা হয়।
এইচএস/আরএস/পিআর