রাজধানীতে বাড়ির ছাদে গরুর খামার


প্রকাশিত: ০৩:০৭ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পুরান ঢাকার লালবাগের ডুরি আঙ্গুল লেনের চারতলা বড় বাড়িটি দেখে বোঝার উপায় নেই যে এই বাড়ির ছাদেই রয়েছে একটি গরুর খামার। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলেই চোখে পড়বে এই খামারটি। খামারের মালিক হাজি হাবিবুর রহমান ও তার ভাই-বোন সবাই মিলে এই খামারটি গড়ে তুলেছেন।

খামারের মালিক হাজি হাবিবুর রহমানের বোন তাহমিনা আক্তার জানান,  ১০- ১২ বছর আগে এই খামার করার চিন্তাটা আসে। হাবিবুর রহমান সে বছর ঈদে একটি গরু কিনে আনেন। কিন্তু কোরবানির জন্য যথেষ্ট বয়স না হওয়ায় তিনি গরুটি রেখে দেন। এরপর তিনি আরেকটি গরু আনেন। আর এভাবেই খামরের শুরু। ছোট দুটি গরু নিয়ে বাসার ছাদে পালতে শুরু করেন, এখন ওই খামারে সব সময় ১৫ থেকে ২০ টা গরু থাকছে।

Cow-Khamar

হাবিবুর রহমান জানান, গরুগুলো বড় হলে তাদের মধ্যে কয়েকটি বিক্রি করেন তিনি। আর বাকিগুলো থেকে দুধ বিক্রি করেন। প্রতিদিন গরুগুলো থেকে প্রায় ৪০ লিটার দুধ পাচ্ছেন তারা।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে খামারটিতে রয়েছে ৮টি অস্ট্রেলিয়ান গরু। আর চারটি নেপালি গরু। বাকি ছয়টি এবছর কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হয়েছে।

গরুগুলোকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করার জন্য রয়েছেন দুইজন তত্ত্বাবধায়ক। আর নিয়ম করে প্রতি মাসে চিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে যান গরুদের স্বাস্থ্য।

Cow-Khamar-2

একজন তত্ত্বাবধায়ক নাজমুল শেখ বলেন, প্রতিদিন তাদের গরমের সময় দুইবার গোসলের ব্যবস্থা করতে হয়।  শীতের দিনে একবার সাবান, শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

ছাদের ওপরে টিনের ছাউনি দেয়া আর সামনে বাঁশ দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে গরুর থাকার জায়গা। ভিতরে চলছে ফ্যান। গরু পালন করতে সাধারণত বড় জায়গার প্রয়োজন হয়। ছাদের ওপর সীমিত এই জায়গায় গরুর জন্য কতটা স্বস্তি দায়ক এমন প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান বলেন,  " তাদের আরাম আয়েশের জন্য সব ব্যবস্থা আছে। কোন কষ্ট হয় না তাদের"।

রাজধানীতে যেখানে স্থান স্বল্পতার জন্য নানা সমস্যার কথা প্রায় সময় শোনা যায়, সেখানে ছাদের ওপর এই খামার তৈরি করে এই খামারের মালিকরা যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি  প্রতিবেশীরা খামার থেকে ভেজাল মুক্ত টাটকা গরুর দুধ কিনতে পারছেন। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।