ঈদের দিনেও রাজধানীতে পশু বিক্রি


প্রকাশিত: ০৩:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

ঈদের দিনেও (শুক্রবার) রাজধানীতে কোরবানির পশু কেনা-বেচা হয়েছে। তবে গরুর চেয়ে ছাগলই বেশি বিক্রি হয়েছে। লাখের ওপরে নয়, এর চেয়ে কম দামের গরুর চাহিদা ক্রেতাদের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। এখনো বেশ কয়েকটি স্থানে কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পুরো ঢাকা শহরেই যেন এখন ভ্রাম্যমাণ গরু-ছাগলের হাট। শহরের অলিতে-গলিতে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা ছাগল নিয়ে ফেরি করছেন।

ঈদের আগের দিন গতকাল বৃহস্পতিবার বাড়তি দাম গুনেই গরু কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। বেপারিরা কৌশলে এ কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে অভিযোগ ক্রেতাদের। পাক্কা বেপারিরা এবার শেষ হাসি ঠিকই হেসেছেন।

বৃহস্পতিবার শেষ দিনে, কম দামে পশু কেনার পরিকল্পনাকারী ক্রেতাদের হতাশ হতে হয়েছে। মাঝারী ও ছোট আকারের গরুর দিকে ঝুকেছেন সবাই। হাটে, গরু না ঢোকায়, সরবরাহে সংকট পরিস্থিতি দামেও প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

বিক্রেতা ও হাটের ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে, সাধ্যের মধ্যে যারা পছন্দের পশু কিনতে পারেন নি তারা আজ গাবতলীর পশুর হাটে এসে অনেকেই পশু কিনে চলে গেছেন। বিকেলে কোরবানির পশু ছাড়াও স্থায়ী হাট হিসেবে কেনা বেচা চলবে।

শুক্রবার দুপুরে হৃদয় নামে এক ইজারাদার জাগো নিউজকে জানান, গাবতলী শুধু ঈদ নয় সারা বছরের দৈনিকের হাট এটিই। সে কারণে রাজধানীর মধ্যে ঈদের দিনেও এখানে পশু বিক্রি হয়। গেলো বারের চাইতে এবার ভোগান্তি বাড়লেও, পশুর বাজার দরে লাল হয়েছে ক্রেতারা।

রাজধানীর পুরান ঢাকা, বাড্ডা, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, আদাবর, মনসুরাবাদ, কল্যাণপুর ও মিরপুরে দেখা গেছে কোরবানির পশু এখনো বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই খুঁজছেন মাঝারি সাইজের গরু।

আলতাফ নামে এক ক্রেতা জানান, গাবতলীতে গেছিলাম মাঝারি আকারের গরু কিনতে। ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকায় গরু কেনার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পছন্দের গরু দামে কোনোটাই ৬০ হাজারে নিচে পাওয়া যায়নি গাবতলীর হাটে। সে কারণে গতকাল আর কেনাই হয়নি। তাই আজ এসেছি আবারো গাবতলীতে। ১৮ হাজার টাকায় একটি খাসি কিনেছেন তিনি।

নরসিংদী থেকে ছাগল নিয়ে এসেছেন নেছার আলী। তিনি আরো ২ সঙ্গিসহ ১৫টি ছাগল নিয়ে ঢাকার বাড্ডায় বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গতকাল থেকে অপেক্ষা করছেন তারা। রাতে পালাক্রমে ছাগল পাহারাও দিয়েছেন। সকালে ২ জন ক্রেতা এসে ৩৪ হাজার টাকা দামে দুটি ছাগল কেনেন।

একই জেলা থেকে এসেছে হালিম। ছাগল প্রতি এক থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ হয়েছে তার। প্রতি বছরই স্থানীয় হাট থেকে ছাগল কিনে ঢাকায় আসেন বিক্রি করার জন্য।

জেইউ/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।