ধরা খাচ্ছেন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা


প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বর্গফুট হিসাব কষে চামড়া  কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার  সকাল থেকে পাড়ামহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনলেও দুপুর ১২টার পর থেকে পোস্তগোলাসহ বিভিন্ন চামড়ার আড়ৎ থেকে চামড়ার মূল্য পড়ে যাচ্ছে এমন কথা হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের চামড়া কেনার আগ্রহে ভাটা পড়ে।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে নিউমার্কেট এলাকায় জসীম নামের এক মৌসমুী ব্যবসায়ী জানান, বর্গফুটের হিসাব না বুঝায় চামড়া ব্যবসায়ী তাদেরকে বড় ও মাঝারি চামড়া  ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকায় কেনার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরে হঠাৎ করে দাম পড়ে যাওয়ার কথা বলে আর চামড়া না কেনার পরামর্শ দেন।

Leather

জসিম জানান, প্রতি বছর মৌসুমী একদিনের ব্যবসা করে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হয়। দাম পড়ে গেলে এবার হয়তো লাভ নাও হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

শুধু জসীমই নন, নিউমার্কেট, সিটি  কলেজ, ল্যাবএইড, কলাবাগান ও ধানমন্ডি এলাকার বেশ কয়েকজন ক্ষুদে মৌসুমী ব্যবসায়ী  জানান, বর্গফুটের হিসাবের কারণে তাদের লোকসান গুনতে হতে পারে।  

সম্প্রতি চামড়া ব্যবসায়ীরা এক সংবাদ সম্মেলনে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেন।লবণযুক্ত গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকায় কিনবেন বলে ঠিক করেছেন। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ২০-২২ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ১৫-১৭ টাকা নির্ধারণ করেছেন ট্যানারি মালিক ও চামড়া ব্যবসায়ীদের তিন সংগঠন।

Leather-2

বুধবার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও পাদুকা রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চামড়ার এ মূল্য ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল গতবার ঢাকার বাইরে এ দাম ছিল ৭০ থেকে ৭৫ এবং বাইরে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। এছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির লবণযুক্ত চামড়ার দাম ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

Leather-3

শুক্রবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য নগর  হাসপাতালের সামনে সবুজ  মিয়া নামের এক মৌসুমী ব্যবসায়ী জানান, তিনি একটি সিকিউরিটি কোম্পানির সুপারভাইজার। প্রতি বছর ঈদে চামড়া কিনেন। এবারো ১০টি চামড়া কিনেছেন। দুপুর ১২টায় একজন পাইকার তাকে  বলেছিলেন, প্রতি পিস ২১০০ টাকা হলে যেন তার কাছে বিক্রি করা হয়। দুপুর ২টায় বিক্রি করতে এসে হতবাক সবুজ মিয়া। ওই একই ব্যক্তি প্রতিপিস ১৯০০ টাকার এক টাকা বেশী দিতে পারবেননা বলে জানান। কারণ জানতে চাইলে তাকে বলা হয় পোস্তা থেকে তাদের বড়ভাই ব্যবসায়ীরা আপাতত আর কোনো চামড়া না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মৌসুমী ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বর্গফুটের হিসাব বুঝতে  না পারার কারণে তাদের লোকসান গুনতে হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।