মিনা ট্রাজেডি : প্রশ্নবিদ্ধ হজ ব্যবস্থাপনা
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান। এদিকে বৃহস্পতিবারের ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য হাজিরা সৌদি কর্তৃপক্ষের দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন। একই সঙ্গে হজের বাকী আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। শুক্রবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মক্কার মিনায় প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৭১৭ জন হাজি নিহত হয়েছেন। গত ২৫ বছরের মধ্যে মিনার এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো আট শতাধিক হাজি।
এ দুর্ঘটনার পর হজ সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সৌদি বাদশাহ বিষয়টি আরো উন্নত করা যায় কিনা সে কথা স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে ভয়াবহ এই বিপর্যয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাজিরা যথাযথ নির্দেশনা মেনে চলেননি বলে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তার এই মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন হাজিরা। তারা বলছেন, সৌদি পুলিশ সদস্যরা একেবারেই অনভিজ্ঞ। পুলিশ সদস্যদের অনেকেই হাজিদেরকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে পারেননি। এমনকি তারা হাজিদেরকে সঠিক রাস্তাও দেখিয়ে দিতে পারেননি।
মিনার এ দুর্ঘটনার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন। একইসঙ্গে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানরত পোপ ফ্রান্সিসও এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ লাখ হাজি অবস্থান করছেন। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের নিরাপত্তার জন্য এক লাখ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন, এসব পুলিশ সদস্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ নয়। ভাষাগত সীমাবদ্ধতার কারণে তারা বিদেশিদের সঙ্গে ভালভাবে যোগাযোগও করতে পারেন না। এছাড়া তাদেরকে সঠিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
এসআইএস/এমএস