কমিশনারদের বিরুদ্ধে বরাদ্দের অর্থ তছরুপের প্রমাণ মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১০ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৯

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ক্যাসিনো ও টেন্ডারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্যনের অভিযোগ পাওয়া গেলেও আটককৃত সিটি করপোরেশন কমিশনারদের বিরুদ্ধে বরাদ্দের অর্থ তছরুপ করার প্রমাণ মেলেনি। তাই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার সচিবালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং-এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের শুদ্ধি অভিযানে বেশ কিছু সংখ্যক সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কমিশনারদের ব্যাপকভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। যাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তার বিরুদ্ধেই বিশাল দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করে ফেলেছেন এমনটা হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে বাংলাদেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণের স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রীর। এ জন্য একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ উন্নয়নে বাধা হচ্ছে দুর্নীতি। স্বাভাবিকভাবেই দুর্নীতি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটা আমাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলে। সেটাই বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, 'এটা সব সময় চলমান ছিল। কিন্তু এখন হয়তো এটা দৃশ্যমান হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধু ওয়ার্ড কমিশনারকে নয়, দলের অন্যান্য পদাসীনদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দুর্নীতির সাথে যার সম্পর্ক পর্যায়ক্রমে এদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।'

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে তাদের যে দায়িত্ব, সে দায়িত্বের মাঝে তাদের যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেখানে তেমন বেশি কিছু দুর্নীতি পাওয়া যায়নি। আমরা পাচ্ছি বিভিন্ন ঠিকাদারি, ক্যাসিনো চালানো এসব থেকে দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। দুদক মনে করছে এসব থেকে তাদের আয় প্রদর্শিত আয় নয়। তাই আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিটি করপোরেশনে তাদের যে দায়িত্ব ছিল, তার মাঝে থেকে তাদের বিরুদ্ধে তেমন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি।’

এক্ষেত্রে উন্নয়ন কাজে বাধা হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্র একটি ব্যবস্থাপনার উপরে প্রতিষ্ঠিত। এ ব্যবস্থাপনাই কাজগুলো সম্পন্ন হবে। সব জায়গাতেই বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। সিটি করপোরেশন যে ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রতিষ্ঠিত সে অনুযায়ী কাজ চলছে। আমার মনে হয় এ জন্য কোথাও কাজের গতি স্লথ হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের সম্পদের হিসাব নেয়ার জন্য দেশের ব্যবস্থা রয়েছে। তারা কিছু কিছু মানুষের সম্পদের হিসাব নেন এবং যাচাই-বাছাই করছে। তাদেরও ব্যাপারেও দেখছেন।’

এমইউএইচ/এনএফ/জেআইএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।